প্রথমবারের মতো কানাডায় প্রদর্শিত হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের দুর্লভ খন্ডচিত্র। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার ভোর রাতে অন্টারিওর রাজধানী টরেন্টো’র মিসিসাগা আর্টগ্যালারিতে চলমান ‘লাইটিং দ্য ফায়ার অব ফ্রিডম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সেখানে প্রতিমন্ত্রীকে স্বাগত জানান আর্টগ্যালারি অব মিশিগানের কিউরেটর আদিল খান এবং নির্বাহী পরিচালক অ্যানা গুলনিস্কি।
উপস্থিত ছিলেন দুর্লভ চিত্রগুলোর সংগ্রাহক ও প্রদর্শনীর অন্যতম পৃষ্ঠোপোষক সামদানি আর্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা রাজীব সামদানি।
প্রদর্শনীতে বঙ্গবন্ধুর জন্মকাল ১৯২০ সাল থেকে হত্যার বছর ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত নানা ঘটনার দুর্লভ চিত্র উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রথমেই ছিলো বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থানের চিত্র। ছিলো স্কুল ছাত্র অবস্থাতেই মাহাত্মাগান্ধীর সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে অংশগ্রহণের ফটোগ্রাফি। প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে চিত্রশিল্পী সৈয়দ ইকবালের আঁকা ‘নতুন প্রজন্মকে পিতার উপহার’ এর মতো বেশ কিছু নিবেদিত তৈলচিত্র। ছিলো প্রদর্শনীর সকল দালিলিক চিত্রকর্মের একটি ডিজিটাল বইও। এতে নতুন প্রজন্মের জন্য উপস্থাপন করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর জীবন-কর্মের বিমূর্ত শিল্পকর্ম।
প্রদর্শনী ঘুরে দেখে প্রতিমন্ত্রী নিজেই মাঝে মাঝে কিউরেটরের সঙ্গে ছবির বর্ণনা করেন। ডুবে যান ইতিহাসের অলি-গলিতে। শুনতে থাকেন প্রদর্শনীতের উপস্থাপিত বেশ কিছু চিত্রকর্মের সাক্ষী দু-একজন প্রবীণ ব্যক্তির। এদেরই একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ে চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী কামাল ৭ মার্চের ভাষণের রঙিন সংস্করণের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের প্রতি। ছবি সামনে দাঁড়িয়ে সেই দিনের স্মৃতির বর্ণনা করেন তিনি।
পুরো আয়োজনের জন্য উপস্থিত আয়োজক ছাড়াও আয়োজন সহযোগী সিআরআই ট্রাস্টি ও বঙ্গবন্ধু দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব ববি ও সহযাত্রী বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।