দেশে প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে প্রকাশ করা হলো বেসরকারি স্কুলগুলোর ফল। রাজধানীর জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমীতে রোববার বিকেলে কিবোর্ডের বোতাম চেপে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
অনলাইনে স্কুলে ভর্তির এই লটারি হয়েছে টেলিটকের বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে। এসময় শিক্ষা মন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, ডিজিটাল ভর্তির মাধ্যমে ভর্তি-বাণিজ্য, কোচিং বাণিজ্য বন্ধ হয়েছে। আমাদের অভিভাবকদের মধ্যে যে অসুস্থ প্রতিযোগীতা ছিল, যেসব অনৈতিক ভর্তি কোচিং ও অনাকাঙ্ক্ষিত তদবির ছিলো এখন আর এ সুযোগ নেই।
ভর্তি নয় ভর্তি যুদ্ধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে যে ভর্তি যুদ্ধ করতে হতো কোমলমতি শিক্ষার্থীদের তা থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি। আমাদের যেসব নেতিবাচক চর্চা রয়েছে তা থেকে বেরিয়ে এসে ইতিবাচক চর্চার চেষ্টা করছি।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক, শিক্ষামন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফৌজিয়া জাফরিন, ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান নেহাল আহমেদ প্রমুখ।
এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর সরকারি স্কুলগুলোতে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির লটারি হয়। এতে ৭৫ হাজার ৯৬৯ শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়।
এবার বেসরকারি স্কুলগুলোর ৯ লাখ ৪০ হাজার আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ৩ লাখ ৬৮ হাজার। এর আগে ২০২২ সালের প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে স্কুলে ভর্তির জন্য ২৫ নভেম্বর অনলাইনে আবেদন কার্যক্রম শুরু হয়। চলে ১৬ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত।
মাউশি এর আগে এক অফিস আদেশে জানায়, সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন ও ভর্তি প্রক্রিয়া অবশ্যই ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে। লটারি কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে ভর্তি পরিচালনা কমিটি, ঢাকা মহানগরের ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাউশি অভিভাবক, ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষক প্রতিনিধির উপস্থিতি থাকতে হবে।
করোনা মহামারির কারণে গত বছর প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এর আগে শুধু প্রথম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো। আর দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তিতে পরীক্ষা নেয়া হতো। নবম শ্রেণিতে ভর্তি করা হতো জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর ২০২০ সালের ১৭ মার্চ সারা দেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। এর প্রায় দেড় বছর পর গত ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল-কলেজে ক্লাস শুরু হয়।