আজ থেকে ৪৬ বছর আগে বঙ্গবন্ধুর মাসুম বাচ্চাটাও নিহত হন ঘাতকের বুলেটে। বেঁচে থাকলে আজ তিনি পূর্ণ করতেন জীবনের ৫৭তম বসন্ত। তবে আজ তিনি স্মৃতি। ‘শেখ রাসেল দীপ্ত জয়োল্লাস, অদম্য আত্মবিশ্বাস’ নিয়ে এই স্মৃতি নিয়েই নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দেশ ও দেশের বাইরে বাংলাদেশী দূতাবাসগুলোর মাধ্যমে জাতীয়ভাবে পালিত হচ্ছে প্রথম শেখ রাসেল দিবস।
সোমবার সকাল নয়টা শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি পালন করা শুরু করেছে আইসিটি বিভাগ। আইসিটি টাওয়ারে স্থাপিত এই প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আইসিটি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম, ভারপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আইসিটি বিভাগের আধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগন এতে অংশগ্রহণ করেন । এসময় শেখ রাসেলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের উদ্যোগে
আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের নেতৃত্বে বনানী কবরস্থানে শেখ রাসেলের সমাধীতে
পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় এবং আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে দেয়া শুভেচ্ছা বার্তায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, মৃত্যুকালে রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল। ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকারদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা সফল হয়নি। দেশের শিশু-কিশোর, তরুণ প্রজন্মের কাছে শেখ রাসেল এক ভালোবাসার নাম।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক বলেছেন, বাংলাদেশের শিশু-কিশোর, তরুণ, শুভবুদ্ধিবোধ সম্পন্ন মানুষদের কাছে ভালবাসার নাম। অবহেলিত, পশ্চাৎপদ, অধিকার বঞ্চিত শিশুদের আলোকিত জীবন গড়ার প্রতীক হয়ে গ্রাম-গঞ্জ-শহর তথা বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ জনপদ-লোকালয়ে শেখ রাসেল আজ এক মানবিক সত্তায় পরিণত হয়েছে।”
“মানবিক চেতনা সম্পন্ন সকল মানুষ শেখ রাসেলের মর্মান্তিক বিয়োগ বেদনাকে হৃদয়ে ধারণ করে বাংলার প্রতিটি শিশু-কিশোর তরুণের মুখে হাসি ফোটাতে আজ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ,”
এর পর দশটায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে জাতীয় পর্যায়ে উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধনীতে সংযুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।