নিজেদের উদ্ভাবনকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিতে আন্তঃ ইনোভেশন সামিট করছে ইলেকট্রিনিক্স ও প্রযুক্তি পণ্যের ‘মেড ইন বাংলাদেশ’হিসেবে পথিকৃত প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগ নিয়ে এমন আয়োজন দেশে এবারই প্রথম। এক্ষেত্রেও আরো একধাপ এগিয়ে থাকলো ‘আমাদের পণ্য’ খ্যাত দেশীয় এই টেক জায়ান্ট।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে গাজীপুরের ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের কমপ্রেসর কারখানায় দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান চলছে। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই উম্মোচন করা হয় ওয়ালটনের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টারের নামফলক।
অনুষ্ঠানে উৎপাদিত পণ্যে সংযুক্ত ভ্যালুগুলো বিষয়ে প্রতিষ্ঠানে উধ্বতন কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি পণ্য ব্যবস্থাপক ও বিপনন কর্মকর্তাদের সামনে উপস্থাপন করছেন ওয়ালটন হাইটেক ইন্ট্রাস্ট্রির গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের গবেষকরা। পণ্য ভেদে অর্ধশতাধিক স্টলে টিভি, রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনার হোম অ্যাপ্লায়েন্স নিজেদের উদ্ভাবিত পণ্য ও এর আনুষঙ্গিক সরঞ্জামের পসরা সাজিয়েছেন তারা। ব্যাখ্যা করছেন, বুঝিয়ে দিচ্ছেন কীভাবে ক্রেতাদের পছন্দ অনুযায়ী পরিবেশবান্ধব পণ্য নকশা করছেন তারা। বদলে যাওয়া প্রযুক্তি বিশ্বের সঙ্গে এগিয়ে থাকতে ডিভাইসগুলোতে আইওটি সুবিধা যুক্ত করার বিষয় গুরুত্ব পেয়েছে এই সামিটে।
কোম্পানির এই অভিনব আয়োজন ঘুরে ঘুরে পরখ করে দেখেছেন দেশের শীর্ষ দুই তথ্যপ্রযুক্তি ও শিক্ষাবিদ ড. মুহাম্মাদ জাফর ইকবাল এবং ড. মোহাম্মাদ কায়কোবাদ।
এসময় তাদের কাছ থেকে মনযোগের সঙ্গে করণীয় বিষয় জেনে নিয়েছেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম শামসুল আলম এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী গোলাম মোর্শেদ।
প্রদর্শনীর পর ওয়ালটনের বিভিন্ন গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজন করা হয় একটি সেমিনার। সেখানে তারা ছাড়াও অতিথি বক্তা থাকছেন ড. মুহাম্মাদ জাফর ইকবাল এবং ড. মোহাম্মাদ কায়কোবাদ।