করোনার চেয়ে মারাত্মক অনলাইন হুমকী। তাই এই হুমকী থেকে আগামী প্রজন্মকে রক্ষায় অনলাইনের মিথ্যা তথ্য যাচাই করতে একটি ‘ফ্যাক্ট চেকার’ এবং ‘জনতার পোর্টাল’ উন্মোচন করছে আইসিটি বিভাগ।
বুধবার “ডিজিটাল নিরাপত্তা” শীর্ষক অনলাইন সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় এই তথ্য জানান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
এসময় শিশুদের হাত ধোঁয়া শেখানোর মতো সফটওয়্যার কিংবা ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় জীবাণুমুক্ত রাখার জন্য অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন প্রতিমন্ত্রী।
এছাড়াও সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা তৈরি ও আইনের কঠোর প্রয়োগে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের যথাযথ ভূমিকা পালনে গুরুত্বারোপ করেন জুনাইদ আহমেদ পলক।
ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির উদ্যোগে মাঠ প্রশাসনে কর্মরত কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক মোঃ রেজাউল করিম।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আইসিটি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম ও শিক্ষাবিদ ড. জাফর ইকবাল বক্তব্য রাখেন। এসময় তিনি মাঠ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের সবসময় ভুয়া ও মিথ্য তথ্য বিষয়ে সতর্ক থাকার পামর্শ দেন। আইন দিয়ে নয়, সচেতনতার মাধ্যমেই অনলাইনের দুবৃত্তপনা থেকে নতুন প্রজন্মকে সুরক্ষা করা যাবে বলে মন্তব্য করেন ড. জাফর ইকবাল।
ফেসবুককে মাদকের সঙ্গে তুলনা করে এ বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান এই বিজ্ঞান লেখক।
অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ৯৩৪ জন সকরারি কর্মকর্তা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জব্বাব দেন আইসিটি সচিব এন এম জিয়াউল আলম।