ডিজিটাল মাধ্যমে আন্তঃলেনদেন সুবিধা চালু করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেয়া উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ব্যাংকাররা। তবে ডিজিটাল লেনদেনে সুরক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে গ্রাহক ও সেবাদাতা উভয়কেই সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে মানুষকে ডিজিটাল লেনদেনে বিকল্প ব্যবস্থা রেখেই ডিজিটাল ওয়ালেট চালু এবং ক্যাশ আউট চার্জ নিয়ে যেনো গ্রাহক চাপে না পড়ে সে বিষয়েও গুরুত্ব দিতে সেবাদাতাদের পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক জাকির হাসান।
তিনি বলেছেন, অ্যাকচ্যুয়ালি অলটারনেটিভ চ্যানেল কখনো রেগুলার ডেলিভারি হতে পারে না। এখন আমরা যে ধরনের ফাইন্যান্সিয়াল সেবা নিচ্ছি, এগুলো সবই অল্টারনেটিভ। তাই যখন আমরা ক্যাশলেসের দিকে যাবো, আমাদের একটা সিস্টেমে যেতে হবে। সেটিকে রেগুলার সিস্টেমে রূপান্তরের ক্ষেত্রে সকলের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন বিবেচনায় নিয়েই আমাদের করতে হবে। আর আমাদের মনে রাখতে হবে, আমাদের যেন টাকা দিয়ে টাকা কিনতে না হয়।
শনিবার (২৪ অক্টোবর) সিটিও ফোরাম আয়োজিত নগদ লেনদেনের ডিজিটাল রূপান্তর শীর্ষক ওয়েবিনারে এমন মত ব্যক্ত করেছেন তিনি।
সিটিও ফোরাম সভাপতি তপন কান্তি সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার মেজবাহ উল হক। উপস্থাপনায় ডিজিটাল লেনদেনে গ্রাহকের অংশগ্রহণ বাড়ার গতিচিত্র তুলে ধারেন তিনি।
উইনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল এই সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ডাচ বাংলা ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবেদুর রহমান শিকদার, কিউ ক্যাশের পরিচালক ওসমান হায়দার, বিকাশের পণ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান মোহাম্মাদ আজমল হুদা এবং এসএসএল ওয়্যারলেসেরে সিটিও শাহজাদা রেদওয়ান।
সভাপতির বক্তব্যে সিটিও ফোরাম সভাপতি তপন কান্তি সরকার বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী হচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের গ্রাহকরা। আন্তঃলেনদেন সুবিধা এই খাতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করলো।