জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জনের একটি উদ্ভাবনী ইকো-সিস্টেম গড়ে তুলতে কাউকেই পেছনে ফেলে এগোনো যাবে না। এজন্য এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসগরী অঞ্চলের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে নিয়ে উন্মুক্ত, সুরক্ষিত ও মানবিক ডিজিটাল মঞ্চে সংযুক্ত করতে হবে। এজন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, শিল্প, ব্যবসা প্রতিটি ক্ষেত্রে এআই ব্যবহার এবং ডিজিটাল অন্তর্ভূক্তির পাশাপাশি প্রত্যেকের জন্য ডিজিটাল সংযুক্তি নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বক্তরা। ডিজিটাল সেবা ব্যবহারকারী ও সেবাদাতাদের মধ্যে বন্ধন প্রতিষ্ঠায় ডিজিটাল দক্ষতা উন্নয়নে মনোনিবেশ করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
কী ভাবে অন্তর্ভূক্তিমূলক ডিজিটাল সাম্য অর্জন করা যায় তা নিয়েই বাংলাদেশের ডাক, টেলিযোাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে চলমান ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক (ইএসসিএপি) এর ৮০তম সম্মেলনে আলোকপাত করা হলো মঙ্গলবার দুপুরে।
দেশটির জাতিসংঘ ভবনের এসকাপ প্লানারি হলে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের মূল প্রোগামে এজেন্ডা-২(এ) এর অধীনে “এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে টেকসই উন্নয়নের জন্য ডিজিটাল উদ্ভাবনের সুবিধা” শীর্ষক সভাটি সঞ্চালনা করেন জাতিসংঘের জেন্ডার ইক্যুইলিটি ও এমপাওয়ারমেন্ট বিষয়ক নেপালের ৩০-৩০ নেটওয়ার্ক প্রতিনিধি সাঞ্জানা চান্দিয়াও।
সভায় ডিজিটাল অন্তর্ভূক্তি ও উদ্ভাবনার মাধ্যমে এশিয়া প্রশান্ত মহাসগরী অঞ্চলের জন্য জাতিসংঘের ২০২০ এজেন্ডা বাস্তবায়ন শেষে নতুন কৌশল নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হয়। চলমান ডিজিটাল যুগে সকলের জন্য ডিজিটাল দক্ষতা উন্নয়নে কী কীভাবে উচ্চাভিলাষী ডিজিটাল সাম্য গড়ে তুলে ডিজিটাল বিশ্বে সবার জন্য সমান ও অর্থপূর্ণ ডিজিটাল অ্যাকসেস নিশ্চিত করা যায় তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন বক্তরা।
বক্তব্য রাখেন কোরিয়ার এনআইএ ভাইস প্রেসিডেন্ট মুন সেন জি, চীনের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মিস জিন জাং, রাশিয়ার ডিজিটাল নীতি গবেষক জোরি তো কম্বোয়িন, ভারতের এক্সেসেবিলিটি ডিজিটাল টেকনোলজি বিশেষজ্ঞ প্রশান্ত রঞ্জন ভার্মা, থাইল্যান্ডের সিয়াম কমার্সিয়াল ব্যাংকের ফার্স্ট এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট পিটি পন বোনা পার্ট প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।