আগামিকাল রবিবার (২১ জানুয়ারি,২০২৪) শুরু হচ্ছে ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। ওইদিন সকালে মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার মেলার সরকারের উন্নয়নমূলক চিত্র ফুটিয়ে তুলে ধরতে বঙ্গবন্ধু টানেলের আদলে নির্মাণ করা হয়েছে প্রধান প্রবেশদ্বার। পাশাপাশি থাকতে রূপপুর পারমানবিক বিদুৎ কেন্দ্র, মেট্রোরেল, পদ্মা সেতুসহ বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্র। মেলায় এবার বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন নির্মান করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ীর আদলে। মেলায় ১০ ক্যাটাগরিতে থাকছে ৩৫০টি ষ্টল। থাকছে ১২ টি দেশের অংশগ্রহণে বিভিন্ন ধরনের ষ্টল।
এদিকে উদ্বোধনের আগের দিন শনিবার (২০ জানুয়ারি, ২০২৪ বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম মেলা প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করেছেন। পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী এক্সিবিশন সেন্টারে মেলার শেষ সময়ের প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ করেন তিনি।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী মেলার মূল ছাউনির হল ‘এ’ তে ইলেকট্রনিক্স উৎপাদনকারীদের প্যাভিলিয়ন ঘুরে দেখেন। সেসময় আহসানুল ইসলাম এর সঙ্গে কথা বলেন ভিসতা ইলেকট্রনিক্স এর চেয়ারম্যান শামসুল আলম এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক লোকমান হোসেন আকাশ। এসময় প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়- বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে নিবন্ধিত বাংলাদেশী উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ভিসতা ইলেকট্রনিক্স। দেশের সর্বোচ্চ মানের ইলেকট্রনিক্স পণ্য প্রস্তুত ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান ভিসতা শিগগীরই বিশ্ববাজারে রপ্তানি হতে যাচ্ছে বলে প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়। মেলার প্রবেশ মুখেই এবার স্থাপন করা হয়েছে ভিসতা ইলেকট্রনিক্স এর নান্দনিক প্যাভিলিয়ন।
রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)’র তথ্য কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ জানান , প্রায় সব প্যাভিলিয়ন, স্টল বরাদ্দ হয়েছে। আশা করছি মেলা জাজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, মেলার প্রায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এবারের মেলায় কত টাকা রাজস্ব আহরণ হবে তা এই মূহুর্তে বলা যাবে না। মেলা শেষ হলে বোঝা যাবে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে সব ধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। গত বৃহস্পতিবার থেকে পুলিশের পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর) ও জেলা পুলিশ নিরাপত্তার জন্য কাজ করছে।
এবছর মেলায় আগত শিশুদের জন্য থাকতে এটি অত্যাধুনিক শিশু পার্ক। মেলায় যেন কোন প্রকার সমস্যার সৃষ্টি না হয় সেজন্য সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি থাকছে ৫টি ওয়াচ টাওয়ার। রাজধানী প্রবেশদ্বার কুড়িল থেকে বাণিজ্য মেলায় আসা-যাওয়ার জন্য শেখ হাসিনা সরণি সড়কটি পুরোপুরি খুলে দেয়ায় রাজধানীসহ আশেপাশের দর্শনার্থীরা নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারবেন এবারের মেলায়।
এবছর মেলায় বড়দের প্রবেশের টিকেটের মূল্যে নির্ধারন করা হয়েছে ৫০ টাকা, শিশুদের জন্য টিকেটের মূল্যে ২০-২৫ টাকা। প্রতিদিন মেলা খোলা রাখা হবে সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। ছুটির দিন খোলা থাকবে সকাল ৯ টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার মেলায় দর্শনার্থীর সংখ্যা বেশী হবে বলে আশা করছে মেলা কর্তৃপক্ষ।
মেলার আয়োজক হিসেবে রয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরো-ইপিবি।