দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজের সমস্যা নেজেই সমাধান করার মধ্য দিয়েই স্মার্ট হতে তরুণদের আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বলেছেন, তোমরাই মহাকাশ জয় করবে। জানিয়ে দেবে বাংলাদেশ কোথাও পিছিয়ে নেই। যারা পেছনের দিকে টেনে ধরে তাদের সাথে নেই। আমরা ঠিক চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হবো।
শনিবার রাতে ৯ম বারের মতো নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের বাংলাদেশ পর্বের সমাপনী অনুষ্ঠানে এমন আশাবাদের কথা জানিয়েছেন মন্ত্রী।
তিনি বলেছেন, আমাদের ভাবতে হবে এক দিনে কি ১০০ বোমা না ১০০ সড়ক উদ্বোধন চাই। আমরা সবসময় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সঙ্গে থাকবো। পেছনে পড়ে থাকবো না। একই সঙ্গে একজন তরুণ হিসেবে সৎ বুদ্ধিদিপ্ত, মানবিক, অসাম্প্রদায়িক, সহমর্মী এবং নিজের সমস্যা নেজেই সমাধান করার মধ্য দিয়েই স্মার্ট হতে হবে। বেসিস সে ক্ষেত্রে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে দুর্দান্ত ভূমিকা রাখবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইইউবি-এর উপাচার্য প্রফেসর তানভীর হাসান বলেন, আমি যখন ইউএসএ গিয়ে ছিলাম সেখানে দুইটি জিনিস আমাকে অভিভূত করেছিলো। তখন ভেবেছিলাম, ওখানকার মতো হাইওয়ে আমাদের দেশে হবে না। নাসা দেখেও মহাকাশে যাওয়ার স্বপ্নটা নিয়েও তাই মনে হয়েছিলো। কিন্তু এখন আশাবাদী।
ভিডিও বার্তায় নাসা’র অ্যাসট্রোনাট জোসেফ মাইকেল আকাবা বলেন, বিগত ৫টি চ্যালেঞ্জের মধ্যে ৩টিতে বাংলাদেশ জিতেছে। এবারও তারা ভালো করবে। আমরা সবাই এক সঙ্গেই মহাকাশ জয় করবো।
বাংলাদেশের ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের অর্থনীতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কর্মকর্তা জেমস গার্ডিনার বলেন, আমি হ্যাকাথান ঘুরে দেখেছি, সত্যি বিস্ময়কর ছিলো। তোমরা তিন বার বিশ্ব জয় করোছো, এটা কম নয়। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে মহাকাশ গবেষণায় স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছে নাসা। মানুষের জন্য বসবাসের জন্য অধিকতর উপযোগী পরিবেশ তৈরিতেই আমরা বিজ্ঞানের ব্যবহার ও অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছি।
সভাপতির বক্তব্যে শিগগিরই বেসিস ইউএস ডেস্ক চালু হবে বলে জানান বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ। তিনি বলেন, আজ বিশ্বকাপের ম্যাচে বাংলাদেশ জিতলো। এই জয়ী পতাকাটা এখন তোমাদের হতে তুলে দিলাম। আশা করি, এবার একাধিক ক্যাটাগরিতে বিশ্ব জয় করবে তোমরা। আমি মনে করি তোমরা যত ক্ষিধা থাকবে, তুমি তত বেশি দেশকে দিতে পারবে। তোমরাই ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের পতাকা বহন করবে।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে মহাকাশ গবেষণায় নিয়োজিত বাংলাদেশের নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে যারা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের জন্য শিক্ষা বৃত্তি দাবি করেন নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ উপদেষ্টা আরিফুল হাসান অপু।
এছাড়াও বেসিস সচিব হাশিম আহম্মদের সঞ্চালনায় সমাপনীতে পুরো আয়োজনের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২৩-এর আহ্বায়ক ও বেসিস পরিচালক তানভীর হোসেন খান।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের ১৮৫টি দেশের ২৪ হাজার প্রতিযোগীর সঙ্গে ৩৬ ঘণ্টার নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে এবার বাংলাদেশ থেকে অংশ নিয়েছে ২১০ জন। এর মধ্যে সারা দেশ থেকে ১৫০০ জনের মধ্য থেকে ৯ বিভাগীয় শহর থেকে ৫ সদস্যের ৫০টি দল শুক্রবার সকাল থেকে এআইইউবি-তে বিরতিহীন ৩৬ ঘণ্টার হ্যাকাথনে অংশ নেয় প্রতিযোগীরা। অনলাইনে যুক্ত ছিলেন আরো ১৫০জন। তাদের সঙ্গে ছিলেন ৫০ জন মেন্টর ২৫ জন বিচারক ও ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবী।