দেশের আকাশে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পেয়েছে বেসরকারি আরেকটি এয়ারলাইন্স এয়ার অ্যাস্ট্রা। বৃহস্পতিবার বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) প্রতিষ্ঠানটিকে এয়ার অপারেটর সার্টিফিকেট (এওসি) দিয়েছে।
এয়ার অ্যাস্ট্রার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আসিফের কাছে এওসি হস্তান্তর করেন বেবিচকের ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন বিভাগের সদস্য এয়ার কমোডর শাহ কাওসার আহমেদ চৌধুরী। এওসি হলো বেবিচকের চূড়ান্ত অনুমোদন। এটি পাওয়ায় বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনায় এয়ার অ্যাস্ট্রার আর কোনো বাধা থাকল না।
অনুষ্ঠানে সারা দেশে নিরাপদ ও দক্ষ ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে দেশের জিডিপিতে অবদান রাখার জন্য এয়ার অ্যাস্ট্রাকে ইন্ডাস্ট্রিতে স্বাগত জানান এয়ার কমোডর শাহ কাওসার আহমেদ চৌধুরী। আবেদনের এক বছরের মধ্যে বেবিচকের নিয়মনীতিগুলো ধারাবাহিকভাবে মেনে চলার জন্য এবং ২০১৪ সালের পর প্রথম যাত্রীবাহী এয়ারলাইন্স হিসেবে এওসি পাওয়ায় তিনি এয়ার অ্যাস্ট্রাকে ধন্যবাদ জানান।
এয়ার অ্যাস্ট্রার সিইও ইমরান আসিফ বলেন, বেবিচক কর্তৃপক্ষকে তাদের ক্রমাগত সহায়তা এবং নির্দেশনা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। তারা আমাদের সমস্ত নিয়ম মেনে এওসি অর্জন করতে সহায়তা করেছে।
এসময় তিনি কর্তৃপক্ষকে আশ্বস্ত করে বলেন, এয়ার অ্যাস্ট্রা সবসময় পেশাদার কর্মীদের মাধ্যমে যথাযথভাবে কাজ করার চেষ্টা করবে এবং সমস্ত নিয়ম-নীতি মেনে চলবে। বিশেষ করে নিরাপদ ফ্লাইট পরিচালনার সঙ্গে প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো।
সিইও ইমরান আসিফ বলেন, এয়ার অ্যাস্ট্রার প্রাথমিক পার্কিং স্টেশন হবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। তবে সিলেট ওসমানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে বিকল্প স্টেশন হিসেবে রাখা হয়েছে। প্রয়োজন হলে রাতে সিলেট বিমানবন্দরে এয়ারক্রাফটগুলো রাখা হবে।
এয়ার অ্যাস্ট্রার উপব্যবস্থাপক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা সাকিব হাসান শুভ জানান, শিগগিরই বাণিজ্যিক কার্যক্রমের জন্য অফিসিয়াল ফ্লাইট সময়সূচি ঘোষণা করা হবে। তাঁরা জানান, এয়ার অ্যাস্ট্রা প্রাথমিক পার্কিং স্টেশন হবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে বিকল্প স্টেশন হিসেবে রাখা হয়েছে। প্রয়োজন হলে রাতে সিলেট বিমানবন্দরে উড়োজাহাজগুলো রাখা হবে। প্রাথমিকভাবে দেশের সব অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করবে এয়ার অ্যাস্ট্রা। তবে অগ্রাধিকার থাকবে কক্সবাজার ও সিলেটের মতো রুটগুলো।
ফলে এরই মধ্যে ঢাকায় দুটি এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফট ডেলিভারি নিয়েছে এবং আরও দুটি এয়ারক্রাফট চলতি বছরের মধ্যেই ডেলিভারি নেবে। ফ্রান্সে নির্মিত এটিআর ৭২-৬০০ বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক টার্বোপ্রপ প্রযুক্তির নির্ভরযোগ্য এয়ারক্রাফট। এয়ারক্রাফটির আরামদায়ক কেবিন ৭০ জন যাত্রী বহন করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে বেবিচকের কাছে এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে তালিকাভুক্তি ও ফ্লাইট পরিচালনার আবেদন জমা দেয় এয়ার অ্যাস্ট্রা। ৪ নভেম্বর তারা এনওসি পায়। প্রাথমিকভাবে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা করলেও করোনা পরিস্থিতি এবং বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ রাখার স্থান সংকটের কারণে অপারেশন শুরু করতে দেরি হচ্ছে বলে জানা গেছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এবং নভোএয়ার ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এছাড়াও রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।