“দেশে প্রতি বছর হাজারো ডিজিটাল ডিভাইস আমদানি করতে হয়। তাই আমরা চাই এমন একটি ইকোসিস্টেম তৈরি করতে যা আমাদেরকে ডিজিটাল ডিভাইস রপ্তানিকারক দেশে পরিণত করবে। আর এই আয়োজন সেই স্বপ্ন পূরণের প্রথম ধাপ।”
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কাওরান বাজারের সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের মিলনায়তনে ‘ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো’র সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, হাইটেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, বিসিএস এর সভাপতি শহীদ উল মুনীর, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব পার্থ প্রতীম দেব প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে পলক বলেন, “এই মুহুর্তে আমাদের টার্গেট ডিজিটাল ডিভাইস ম্যানুফ্যাকচারিং এ এগিয়ে যাওয়া। একটি দেশের এগিয়ে যেতে দরকার পলিটিক্যাল স্ট্যাবিলিটি এবং দরকার ইনভেস্টমেন্ট। আগে স্বচ্ছতা জবাব্দিহিতা ছিলোনা। এখন সেটা আছে। তাই আমাদের টার্গেট ডিজিটাল ইনোভেশন ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “অনেকে বলেছে, সোফিয়াকে আনতে কোটি কোটি টাকা খরচ হয়েছিল সেটি একদমই অসত্য। সেটির খরচ খুব কম ছিলো। খরচ ৮০-৭০ লাখ টাকা হয়েছিলো। সেটার সাথে সরকারের কোন লেনদেনই ছিলো না। আজ সোফিয়া আসার কারণে আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েরা সোফিয়ার মতো রোবট তৈরি করতে সাহস পেয়েছে। সিলেটের একদল শিক্ষার্থী মিলে তৈরি করেছে ‘লি রোবটভ’। তারা মাত্র ১০ লাখ টাকায় রোবট তৈরি করেছে।”
পলক আরো বলেন, “ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপোতে শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনকে গুরত্ব দেয়া হবে। পাশাপাশি যেসব দেশিয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান পণ্য উৎপাদন করছে তাদের জন্য আলাদা জোন।”
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, “জনসচেনতা সৃৃষ্টি, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যবান্ধব পরিবেশ তৈরি, তরুণদের অংশগ্রহণ বাড়ানো, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পথ ও উদ্যোক্তা তৈরি করতে সহায়ক হবে ‘ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো ২০১৯”।
অনুষ্ঠানে হাইটেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম বলেন, দেশীয় তথ্যপ্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এবং দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে প্রযুক্তিপ্রেমীদের মহাসম্মেলন হবে ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো ২০১৯। এই প্রদর্শনীতে ভবিষ্যত প্রযুক্তির প্রতি বেশি জোর দেয়া হয়েছে। মঙ্গল জয়ের পরিকল্পনা এখন থেকেই আমাদের গ্রহণ করা উচিত। একমাত্র তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের এখন কোনো দূরত্ব নেই। উন্নয়নের এ অগ্রগতিকে চলমান রেখে পৃথিবীর নেতৃত্ব দেয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করতে এই ধরনের আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখতে পারবে বলে আমি আশাবাদী
উল্লেখ্য, ১৪ থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অনুষ্ঠিত হবে সর্ববৃহত্ তথ্যপ্রযুক্তি প্রদর্শনী ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো ২০১৯। যৌথভাবে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করছে বাংলাদশ আইসিটি ডিভিশন, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), আইডিয়া প্রকল্প এবং এটুআই। ১৪ অক্টোবর শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী মেড ইন বাংলাদেশ স্লোগানে ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো ২০১৯ এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।