জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগের কারণে টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপের ক্ষেত্রে এক সপ্তাহব্যাপী স্থগিতাদেশ দিয়েছিলো ইরাক। রোববার সেই স্থগিতাদেশ তুলে নেয়া হলো। খবর ডয়চে ভেলে।
এই পদক্ষেপের ফলে ইরানপন্থি দলগুলোর সমালোচনার মুখে পড়েছিলো ইরাক।
রোববার সকাল থেকে অ্যাপটি ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ছাড়াই ব্যবহার করা যাচ্ছে। বাগদাদের এএফপি বার্তাসংস্থার সাংবাদিকেরা এ কথা জানিয়েছেন।
ইরাকের যোগাযোগ মন্ত্রণালয় শনিবার সন্ধ্যায় ঘোষণা করে, “রোববার থেকে টেলিগ্রামের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে।”
টেলিগ্রাম ইরাকে খুবই জনপ্রিয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ইরাকের চার কোটি ৩৩ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে এক কোটি ৬০ লাখ নাগরিক টেলিগ্রাম ব্যবহার করেন।
বিশেষ করে সশস্ত্র উপদল এবং ইরানপন্থি রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে যুক্ত গোষ্ঠীগুলোর কাছে টেলিগ্রাম হলো অন্যতম প্রচারের মাধ্যম।
সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট একসময়ের ইরাকের বড় অংশ নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল। সেই গোষ্ঠী এবং ইরাকের প্রতিবেশী দেশে সিরিয়ার অনেকেই টেলিগ্রাম ব্যবহার করেন।
ইরানপন্থি শিয়া মুসলিম দলগুলোর একটি জোট ইরাকের পার্লামেন্টে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানীকে সমর্থন করেছিলো তারা।
যখন এটি অ্যাপটি নিষিদ্ধ করা হয়, সরকার জানিয়েছিল, টেলিগ্রাম “রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিগত ডেটা ফাঁস করতে পারে, যা জাতীয় নিরাপত্তা এবং সামাজিক শান্তি বিঘ্নিত করতে পারে।”
নতুন বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলেছে, অ্যাপটির কর্তৃপক্ষ “নাগরিকদের ডেটা ফাঁস করে দেয়া ব্যক্তিদের শনাক্ত করেছে। তাদের সম্পূর্ণ ‘অ্যাভেইলেবেলিটি’ জানিয়ে কর্তৃপক্ষের দাবি অনুযায়ী সাড়া দিয়েছে তারা।”
টেলিগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা রাশিয়ান বংশোদ্ভূত উদ্যোক্তা পাভেল দুরভ। এর আগে আরও কয়েকটি দেশেও টেলিগ্রাম ব্লক করা হয়েছে।
ডিবিটেক/বিএমটি