বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে ফেইসুকে ’সাম্প্রদায়িতকতা, বিদ্বেষ ও সহিংসতা’ ছড়ানো কন্টেন্ট ঠেকাবে সোশাল মিডিয়া কোম্পানি মেটা। বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনের ইসি-মেটা বৈঠক শেষে কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, ভোটের তফসিল ঘোষণার পর থেকে ইসির সহায়তায় মেটা তাদের কার্যক্রম শুরু করবে।
তিনি বলেছেন, অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, আমাদের কাছে যেটা নেগেটিভ প্রতীয়মান হবে আমরা তাদের জানাবো, তারা সেটাকে রিমুভ করে দেবে। শুধুমাত্র নির্বাচনকেন্দ্রিক বিভিন্ন কনটেন্ট বিষয়ে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তফসিল ঘোষণা পর এই কার্যক্রম শুরু হবে।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষের আগ্রহেই এ সভা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ফেসবুকের প্যারেন্ট কোম্পানি মেটার বাংলাদেশ বিষয়ক হেড অব পাবলিক পলিসি রুজান সারওয়ারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সংস্থাটির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এইডান হেই এবং এজিনেন ফো।
অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, আইডিইএ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম এবং এনআইডি সিস্টেম ম্যানেজার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে নির্বাচনের সময় ফেইসবুকে নানা ধরনের অপপ্রচার রোধে মেটার ভূমিকা কী হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে তফসিল ঘোষণা করার পর সব ধরনের গুজব, আপত্তিকর কন্টেন্ট ও অপপ্রচাররোধে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে ফেসবুক কাজ করতে চায় বলে জানিয়েছেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
তিনি বলেন, আমরা ফেসবুকের একটা টিমের সঙ্গে মিটিং করেছি। আমাদের যে টেকনিক্যাল লোক আছে, তাদের নিয়ে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বসেছিলাম। কারণ এখানে কিছু টেকনিক্যাল ব্যাপার ছিল। এটা ছিল প্রাথমিক আলোচনা। পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশনের একজন ফোকাল পারসন নির্ধারণ করা হবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য।
বৈঠকে পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালকের নেতৃত্বে ওই টিমে পুলিশ হেড কোয়ার্টার, পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ, র্যাব, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি), বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) এবং ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) থেকে একজন করে প্রতিনিধি এবং নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার উপস্থিত ছিলেন। মূলত ব্যাপারটা ছিল ফেসবুকে যেসব অপপ্রচার হয়, সেই অপপ্রচারগুলো কীভাবে রোধ করা যায়। বিশেষ করে ঘৃণাত্মক মন্তব্য, সাম্প্রদায়িকতা বা অন্যান্য যেসব ভায়োলেশন হয়। সেগুলো তারা ডিলিট করবে, রিমুভ করে দেবে, ব্লক করবে। মূলত এই ছিল মিটিংয়ের বিষয়।
বৈঠকের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গেও দেখা করেছে প্রতিনিধিদল।