গত ২৬জুন পর্যন্ত ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ২০২১-২২ আরএডিপি বাস্তবায়ন হার শতকরা ৯৬ দশমিক ১৫ ভাগ। বুধবার (২৯ জুন) ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ২০২১-২০২২ অর্থবছরের আরএডিপি বাস্তবায়ন সভায় এ তথ্য জানানো হয়। এদিন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও আওতাধীন প্রতিষ্ঠান, অধিদপ্তর ও সংস্থা প্রধানগণের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। বিভাগের অধীনস্থ দশটি দপ্তর ও সংস্থার পক্ষ থেকে স্ব স্ব সংস্থা প্রধান চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে সচিব জনাব মো: খলিলুর রহমান চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত চুক্তি অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি অনন্য উদ্যোগ। ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বপ্ন দেখেন, স্বপ্ন দেখান এবং স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন।’
তিনি বলেন, এপিএ হচ্ছে পশ্চাদপদতা থেকে আমাদের সামনে এগিযে যাওয়ার ভিত্তি। প্রধানমন্ত্রীর সৈনিক হিসেবে আমাদের উচিৎ তার স্বপ্ন পুরণে নিবেদিত হয়ে কাজ করা। মন্ত্রী তার অধীনস্থ দপ্তর ও সংস্থা প্রধানদের উদ্দেশ্যে বলেন ,’ আপনারা যে চুক্তি করেছেন তা বাস্তবায়নে আপনাদের মনোযোগী হতে হবে। চুক্তি স্বাক্ষর মানেই হচ্ছে প্রতিশ্রুতি পুরণের চেষ্টা করা। আর বাস্তবায়ন না করা মানে ব্যর্থ হওয়া’।
তিনি বলেন, আমাদের মনে রাখতে সাম্প্রতিক বন্যার ন্যায় এমন কিছু আকস্মিক বিষয় আছে যা গতবছর সম্পাদিত এপিএ চুক্তিতে ছিলনা। আকস্মিক যে কোন পরিস্থিতি দক্ষতার সাথে মোকাবেলার সামর্থ অর্জন অপরিহার্য। সাম্প্রতিক বন্যায় দুর্গত এলাকায় ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক সচল রাখতে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি, টেলিটক ও বিটিসিএলসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহের ভূমিকার প্রশংসা করেন মন্ত্রী।
আগামী দিনগুলোতেও এ সেক্টরের সাফল্য অব্যাহত থাকবে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সেই সাথে সম্পাদিত চুক্তি যথাযথভাবে বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০২১-২২ অর্থবছরে বিটিআরসি, ডাক অধিদপ্তর, বিটিসিএল, টেলিটক, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড, টেলিফোন শিল্প সংস্থা, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড, বাংলাদেশ ক্যাবল শিল্প লিমিটেডসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও এর আওতাধীন দপ্তর সংস্থার ১৪টি প্রকল্পের বিপরীতে স্ব-অর্থায়নসহ মোট ৮৪৫ দশমিক ৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। প্রাক্কলিত ব্যয়ের ৪৯৮ দশমিক ৬৯ কোটি টাকা জিওবি, প্রকল্প সাহায্য ৩০০ কোটি টাকা এবং স্ব-অর্থায়ন ৫৫ দশমিক ৮২ কোটি টাকা।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় মো: খলিলুর রহমান বলেন, দেশ ও মানুষের জন্য অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে প্রতিপালন করার প্রতিশ্রতি নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। তিনি তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, একজন কর্মকর্তা চাইলে একটি প্রতিষ্ঠানকে বদলে দিতে পারেন।