বুধবার (১২ জুন) সকাল ১১টায় রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বসছে বিটিআরসির দ্বিতীয় গণশুনানি। এতে যথারীতি মোবাইল নেটওয়ার্কের কলড্রপ, ৪জি নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট ডেটা প্রাইস ও সেবা মান নিয়েই অভিযোগ থাকছে বেশি। এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে বাকি দিনগুলিকে সকল প্রস্তুতি শেষ করবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। পাশাপাশি উত্তর দিতে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকেও।
তবে ২০১৬ সালের ২২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত প্রথম শুনানির মতো এবারেও বেসরকারি কোনো মোবাইল অপারেটর অংশ নেয় না নেওয়ার আলামত পাওয়া গেছে। এ কারণে বিটিআরসি’র পক্ষ থেকে অনেক প্রশ্নের সুস্পষ্ট জবাব পাওয়া নিয়েও সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।
জানাগেছে, জমা পড়া অনেক প্রশ্নে বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, শুরু হয়েছে কিংবা বড়েজোর এতদূর এগিয়েছে এমন উত্তরেই সীমাবদ্ধ থাকতে পারে। রোববার (৯ জুন) বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হকের সভাপতিত্বে গণশুনানির প্রস্তুতিমূলক বৈঠকে গণশুনানিতে আসা প্রশ্ন, উপস্থিতি ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে জানানো হয়েছে, বিটিআরসির গণশুনানির জন্য ১৬৫ জন উপস্থিত থাকার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন এবং অনলাইন আবেদনে সমাজের বিভিন্ন স্তরের এক হাজার ৬০০ জন প্রশ্ন পাঠিয়েছেন। নিবন্ধিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের পাশাপাশি এসব প্রশ্নের মধ্যে মাত্র ১২০টি প্রশ্নের উত্তরের গণশুনানিতে উপস্থাপন করা হবে। নির্ধারিত সময়ে উত্তর দেয়া সম্ভব না হলে বাকি থাকা প্রশ্নের উত্তর অনলাইনে দেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত প্রথম শুনানিতে অংশ নিতে অনলাইনে নিবন্ধন করা ১ হাজার ৫০ জনের মধ্যে অভিযোগ জানাতে ডাক পেয়েছিলেন ৪২০ জন। এদের মধ্যে ৩২ জন সরাসরি অভিযোগ জানতে পেরেছিলেন।