ডিজিটাল থেকে ‘স্মার্ট’পথে হাঁটছে বাংলাদেশ। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট আর ৫জি তরঙ্গের ডিজিটাল সংযুক্তি নিশ্চিত করে সরকারি দপ্তরের সেবাগুলো করা হচ্ছে পেপারলেস। এবার আর্থিক লেনদেনকেও ‘পেপারলেস’ করতে আন্তঃলেনদেন মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে জাতীয় ডিজিটাল ট্র্যান্জেকশন প্লাটফর্ম। এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিকসহ সকল লেনদেন ‘ক্যাশলেস’ উপায়ে সংঘটিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে এই প্লাটফর্মের নাম হবে ‘বিনিময়’।
সোমাবার জাতীয় সংসদে একাদশ জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবে দেয়া বক্তব্যে এ তথ্য জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আর এটা ২০৩১ সালের মধ্যেই বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
পলক বলেন, ‘আজ ১৭ কোটি মানুষের দেশে সাড়ে ১৭ কোটি মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবহৃত হয় বাংলাদেশের জনগন। ১৮ কোটি সিম কার্ড এবং ১৩ কেটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশের সেবা পাচ্ছে। গত ২২ মাসে, এই করোনাকালীন সময়ে শিক্ষা-স্বাস্থ্য-বাণিজ্য এমনকি বিচারিক কার্যক্রম পর্যন্ত আমরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে করতে পারলাম’।
এগুলো ধাপে ধাপে অর্জন সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘২০১০ সালে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, ২০১৪ সালে জেলা পর্যন্ত ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল, সারাবালাদেশে ৮০০ ভিডিও কনফারেন্সিং ইক্যুইপমেন্ট, ২০২১ সাল পর্যন্ত ৩৮০০ ইউনিয়ন সেন্টারে ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল এবং ২০১৬ সালে জয় ভাই আমাদের ই-নথি করে দিয়েছিলেন; যার ফলে এক কোটি ৭০ লাখ ডিজিটাল ফাইল আমরা বিগত ৫ বছরে সম্পাদন করতে পেরেছি। আজকে সরকারের কার্যক্রম আমরা পেপারলেস করেছি। আগামীতে জনাব সজীব ওয়াজেদ জয় ভাই চান, যে আমরা আমাদের আর্থিক লেনদেনও ডিজিটাল মাধ্যমে নিয়ে যাবো।’
সংসদে দেয়া বক্তব্যে পলক আরো বলেন, আজ থেকে ৫ দশক আগে বঙ্গবন্ধু তাঁর দূরদর্শীতা দিয়ে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি সংযুক্তির বিষয়টি উপলব্ধি করেছিলেন। ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রের আর্থ স্টেশন তৈরি করেছিলেন। এর ৪৩ বছর পর বঙ্গবন্ধু কন্যা ‘মুজীব থেকে সজীব’ সেতুবন্ধন রচনা করেছেন। আমরা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন করতে পেরেছি। মাত্র ১৩ বছরে ২জি থেকে ৫জি যুগে বাংলাদেশকে নিয়ে যেতে পেরেছি।