বাবা বিয়োগের ২৫ বছরের শুন্যতায় যুক্ত হয়েছে পুত্রের সবুজ পৃথিবী গড়ার কার্যক্রম। এমন শোক-শক্তির পূর্ণতায় স্রষ্টার কাছে নিজেকে সমর্পনের (কুরবানি) মধ্য দিয়েই ভিন্ন আবহে এবারের ঈদ উল আযহা উদযাপন করলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। নিজ নির্বাচনী এলাকা নাটোরের সিংড়ায় বৈষম্য ভুলে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে মনের পশু কোরবানের মাধ্যমে খুশির ধরা গড়ার প্রত্যয়ে বাধলেন অনুসারীদের।
ঈদের আগের দিন বুধবার সিংড়া পৌর এলাকার শান্তি নিবাস ও হাইটেক পার্ক এলাকায় বড় ছেলে অপূর্ব জুনাইদ এর উদ্যোগে ১ লক্ষ চারা রোপণ ও বিতরন কর্মসূচি উদ্বোধন করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। সভায় জানালেন, নিজের জমানো ১০ হাজার টাকা দিয়ে স্বেচ্ছায় এই উদ্যোগ নিয়েছে পুত্র। অকৃত্রিম বন্ধু গাছ রোপনের মাধ্যমেই বৈশ্বিক উষ্ণতা মোকাবেলায় নিজ এলকাকে এমন একটি অক্সিজেনের আধার গড়তে চান যেখানে বুক ভরে নির্মল বাতাসে সুস্থ জীবন যাপন করবে আগামী প্রজন্ম।
যাপিত সময়ের ব্যস্ততার ফাঁকে ঈদ উদযাপনে নীড়ে ফেরার পথে সিংড়া উপজেলায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পুনর্বাসন এবং ঘরবাড়ি সংস্কারের জন্য ঢেউটিন বিতরণ ও নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন জুনাইদ আহেমদ পলক। স্বপ্নের চার (৪)লেন সড়ত, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার এবং কারিগরি ট্রেনিং সেন্টার এখন দৃশ্যমান অংশ দেখতে দুই পুত্র ও স্ত্রীকে নিয়ে এগিয়ে চলেন; মতবিনিময় করেন ১২ ইউনিয়নের দলীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে। প্রত্যয় ব্যক্ত করেন, সিংড়া উপজেলা কে মানবিক স্মার্ট সিংড়া গড়ে তোলার।
মায়ের দোআ নিয়ে স্থানীয় ৮নং শেরকোল ইউনিয়নের রানীনগর ঈদগাহ মাঠে দুই পুত্রকে সাথে নিয়ে ঈদের নামাজ ও কুশল বিনিময় শেষে ছুটে যান পিতা মরহুম ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ এর কবর জিয়ারতের জন্য। পর দিনই বাবার হারানোর ২৫ বছর। পিতা বিয়োগের রজত জয়ন্তীতে বাবাকে উদ্দেশ্য করে নিজের ভেরিফায়েড সোশ্যাল হ্যান্ডেলে প্রতিমন্ত্রী পলক দোআ চেয়েছেন সকলের কাছে। লিখেছেন, “বাবা কতদিন দেখিনা তোমায়!
২৫ বছর আগে আব্বা আজকের এই দিনে মৃত্যুবরন করেছেন। সকলের কাছে দোয়া চাই মহান আল্লাহ্ যেন আমার আব্বাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন। আমিন।”
মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সিংড়া উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্রদের অংশগ্রহণে কুরআন খতম, দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এভাবেই একটি ভিন্ন আবহে এবারের ঈদ উল আজহা উদযাপন করলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।