বাজেটে স্মার্টফোন আমদানি শুল্ক বাড়ানোয় এবার বাংলাদেশে কারখানা স্থাপনকে গুরুত্ব দিচ্ছে বিদেশী ব্রান্ডগুলো। এর মধ্যে ইতিমধ্যেই কারখানা স্থাপনে তোরজোড় শুরু করেছে চীনা প্রতিষ্ঠান ভিভো। আগামী এক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশে সংযোজন করা স্মার্টফোন বাজারে ছাড়তে শুরু করবে।
লক্ষ্য বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে কারখানা স্থাপনের জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভিভো বাংলাদেশের হেড অব প্রজেক্ট অ্যান্ড অপারেশন অ্যাঙ্গাস।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোম্পানির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গাজীপুরে এজন্য জায়গাও নেয়া হচ্ছে। তবে জায়গাটি কি স্যামসাংয়ের মতো হাইটেক পার্কের বাইরে কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত করেননি।
তবে এখন পর্যন্ত হাইটেক পার্কেও ভিভো কিংবা এর পরিবেশক প্রতিষ্ঠান রংসেং মোবাইল (প্রা.) কোম্পানি কোনো জায়গা নেয়নি।
তবে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত স্মার্টফোন ও ট্যাব মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিভো কর্তৃপক্ষ আগামী এক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশে সংযোজন করা স্মার্টফোন বাজারে ছাড়তে শুরু করবে বলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার-কে কথা দিয়েছে। কোম্পানির হেড অব প্রজেক্ট অ্যান্ড অপারেশন অ্যাঙ্গাস জানিয়েছেন, কারখানা স্থাপনের বিষয়টি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আর এই কারখানায় শতভাগ বিনিয়োগ করবে ভিভো।
এ বিষয়ে মোস্তাফা জব্বার ডিজি বাংলা-কে বলেন, গত অর্থ বছরেই বাংলাদেশে মোবাইলফোন কারখানা স্থাপনের গ্রাউন্ড তৈরি করা হয়েছে। আর চলতি বছরের বাজেটে দেশে উৎপাদিৎ ফোনের সুবিধাকে আরো বাড়াতে ইমপোর্টের সঙ্গে ডিউটি বড় করেছি। যন্ত্রাংশের দাম ৯২ থেকে ০ শতাংশ করা হয়েছে। এরফলে স্পেয়ার এনে দেশে অ্যাসেম্বল এখন লাভজনক।
তিনি বলেন, সরকার মোবাইল সংযোজন করে রপ্তানি করলে নগদ ১০ শতাংশ প্রনোদনা দেবে। ফলে তাদের উৎপাদন খরচও কমে যাবে। আশা করছি ২০২১ নাগাদ দেশে ব্যবহৃত ফোনের ৮০-৯০ শতাংশই মেড ইন বাংলাদেশের হবে। দেশেই সব ব্র্যান্ডের লো ও মিডরেঞ্জের স্মার্টফোন তৈরি হবে। তারা বাংলাদেশে স্মার্টফোন উৎপাদনেই লাভবান হবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে প্রথম ওয়ালটন মোবাইলফোন উৎপাদন শুরু করলেও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড হিসেবে স্যামসাং নরসিংদীতে প্রথম মোবাইল কারখানা স্থাপন করে। এরপর সিম্ফনি, টেকনো, ফাইভ স্টার কারখানা করে উৎপাদন শুরু করে। এরপর চলতি বছরে লাভা, উইনস্টার, ওকে-দোয়েল মোবাইল ও উই সংযোজন কারখানা স্থাপন করার কাজ শুরু করে।