বারও স্যামসাং বাংলাদেশ ক্রেতাদের কাছ থেকে অভাবনীয় সাড়া পেয়েছে। বিক্রি শুরু হওয়ার ২৪ ঘন্টারও কম সময়ে স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি জি সিরিজ হ্যান্ডসেটের (গ্যালাক্সি জি ফোল্ড৩ ফাইভজি ও গ্যালাক্সি জি ফ্লিপ৩ ফাইভজি) প্রি-অর্ডার লট প্রায় শেষ হয়ে গেছে।
গ্যালাক্সি জি ফোল্ড৩ ফাইভজি প্রি-অর্ডারের সকল ইউনিট ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে, তবে ক্রেতাদের চাহিদা পূরণে স্যামসাং গ্যালাক্সি জি ফ্লিপ৩ ফাইভজি’র আরও বেশ কিছু সংখ্যক হ্যান্ডসেট ষ্টকে রয়েছে বলে জানিয়েছে স্যামসাং বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে স্যামসাং বাংলাদেশের হেড অব মোবাইল মো. মূয়ীদুর রহমান বলেন, “ফোল্ড ও ফ্লিপ ফোনের ক্ষেত্রে ক্রেতাদের এমন সাড়া স্যামসাং গ্লোবাল আগেই অনুমান করতে পেরেছিল। প্রযুক্তিভিত্তিক সেবাদানের মাধ্যমে ক্রেতাদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে স্যামসাংয়ের নিরলস প্রচেষ্টার সাথে প্রতিষ্ঠানটির উদ্ভাবনে উৎকর্ষেরই ফল জি ফোল্ড৩ ফাইভজি ও জি ফ্লিপ৩ ফাইভজি।” তিনি আরও বলেন, “কল্পনার সকল সীমা ছাড়িয়ে গেছে জি ফোল্ড৩ ফাইভজি ও জি ফ্লিপ৩ ফাইভজি এই দু’টি হ্যান্ডসেট। শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে প্রাণোচ্ছল গ্যাজেটপ্রেমী তরুণ পর্যন্ত সকলের কাছ থেকে এগুলো উন্মোচনের তারিখ ও প্রি-অর্ডার সংক্রান্ত অগণিত প্রশ্ন পেয়েছি আমরা। এমনকি এখন, প্রি-অর্ডার লট তাৎক্ষণিকভাবে আনার পরও এগুলো আমাদের আউটলেটে কবে পাওয়া যাবে এ বিষয়ে আমরা ক্রেতাদের কাছ থেকে অসংখ্য প্রশ্ন পাচ্ছি। আমি ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাতে চাই সেই সকল স্যামসাং ক্রেতাদের যারা জি সিরিজের ডিভাইস প্রি-অর্ডার করেছেন। আমরা সামনে আরও হ্যান্ডসেট আনতে যাচ্ছি, তাই আমাদের সাথেই থাকুন।”
কোরিয়ার ইয়োনহ্যাপ নিউজ রিপোর্ট অনুসারে, কোরিয়ায় ইতোমধ্যে স্যামসাং গ্যালাক্সি জি ফোল্ড৩ ফাইভজি এবং জি ফ্লিপ৩ ফাইভজি এর প্রি-অর্ডার ৮ লাখ ইউনিট অতিক্রম করেছে। প্রি-অর্ডারের প্রায় ৬০ শতাংশ ছিল গ্যালাক্সি জি ফ্লিপ৩ ফাইভজি এবং বাকিটা ছিল জি ফোল্ড৩ ফাইভজি। কোরিয়ার গণমাধ্যমটি আরও বলছে যে, জি সিরিজ হ্যান্ডসেট তুলনামূলকভাবে তরুণ ব্যবহারকারীদের মধ্যে বেশি জনপ্রিয়। আরেক স্ট্র্যাটেজি অ্যানালিস্ট ফার্ম কেন হায়ারস’র মতে, ফোল্ড ও ফ্লিপ বিভাগের হ্যান্ডসেটগুলোর ৫২ লাখ ইউনিট বিক্রি করতে যাচ্ছে স্যামসাং।
এ মাসের ১ তারিখ থেকে বাংলাদেশে স্যামসাং গ্যালাক্সি জি সিরিজের হ্যান্ডসেটগুলোর প্রি-অর্ডার নেয়া শুরু হয়েছে।