কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) আমরা উদ্বেলিত হই। কিন্তু এই নতুন প্রযুক্তির সম্ভাবনার হাত ধরে তৈরি হচ্ছে নতুন ঝুঁকি। এমন একটি ঝুঁকি হলো—ইচ্ছাকৃত মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দিতে প্রযুক্তির অপব্যবহার।
প্রযুক্তিগত উন্নয়নে কারসাজি করে কন্টেন্ট সৃষ্টি এবং বিতরণকে অনেক সহজ এবং আগের চেয়ে অনেক কার্যকর করে দিয়েছে। এআই অ্যালগরিদম ব্যবহারের মাধ্যমে কোনও বিশেষ জ্ঞান ছাড়াই এখন ভিডিও দ্রুত মিথ্যায় পরিণত করা যায়, যাকে বলা হচ্ছে ডিপফেক।
কিন্তু এই কারসারি সহজেই এড়িয়ে যায় সাধারণের চোখ। যার ফলে ঘটে যেতে পারে লঙ্কা কাণ্ড। এমন পরিস্থিতি থেকে বেঁচে থাকার জন্য সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে উদ্যোগ নিয়েছে দেশের সোশ্যাল গুড কোম্পানি প্রেনিউর ল্যাব। প্রকাশ করেছে ই-বুক- ডিপফেকস এবং গুজব।
যেখানে ডীপফেইক টেকনোলজি এবং এটি কিভাবে শনাক্ত করা যায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে,-ডিপফেক করা হয় গতিবিধির নমুনায়, কারসাজি করা হয় কণ্ঠ ও মুখের অভিব্যক্তি দিয়ে।
সবার জন্য ফ্রি ডাউনলোড সুবিধার বইটি বিষয়ে প্রেনিউরল্যাবের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী আরিফ নিজামী জানালেন,বাইটিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সৃষ্ট নকল কণ্ঠস্বর, জিপিটি – ২, জিএএন, ডিপ নুড অ্যাপ্লিকেশন, চিফ ফেইক বিষয়েও ধারণা দেয়া হয়েছে।
বইটি তরুণ প্রজন্মকে ফেক নিউজ শনাক্ত করতে সহায়তা করবে এবং সাইবার স্পেসকে গুজবমুক্ত রাখতে ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন এফএনএফ প্রোগ্রাম ম্যানেজার ওমর মোস্তাফিজ।