আর্থিক লেনদেন বা কেনাকাটায় নগদ টাকার ব্যবহার কমছেই। এখন চলছে কার্ড, কুইক রেসপন্স কোড (কিউআর) ও অনলাইনভিত্তিক লেনদেন। এ অবস্থায় আগামী ৩০ জুনের মধ্যে যেসব ব্যাংকের নিজস্ব কিউআর কোড চালু রয়েছে, সেগুলোকে ‘বাংলা কিউআর’ দ্বারা প্রতিস্থাপনের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সেই সঙ্গে কিউআর কোডভিত্তিক লেনদেনের প্রসারে দৈনিক লেনদেনে ২০ হাজার টাকার যে সীমা ছিল, সেটাও প্রত্যাহার করা হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক পর্যায়ের লেনদেনেও বাংলা কিউআর কোড চালু করেছে।
বুধবার বাংলা কিউআর কোডভিত্তিক লেনদেনের প্রসারে আগে জারি করা নীতিমালায় কিছু পরিবর্তন এনে নতুন করে সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানগুলো চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে নিজস্ব প্রোপ্রিয়েটারি কিউআর কোড থাকলে বাংলা কিউআর কোড দ্বারা প্রতিস্থাপন করতে হবে। কোডভিত্তিক লেনদেনের ক্ষেত্রে একক ব্যক্তিক হিসেবে দৈনিক লেনদেনের সীমা সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা রহিত করা হয়েছে। তবে ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানগুলো নিজস্ব ঝুঁকি বিবেচনায় মার্চেন্ট পেমেন্টের ক্ষেত্রে বহুমাত্রিক বাংলা কিউআর কোডভিত্তিক লেনদেনের জন্য একক লেনদেনের সীমা, দৈনিক লেনদেনের সীমা এবং সংখ্যা নির্ধারণ করতে পারবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, কিউআর কোডভিত্তিক লেনদেন বিশেষত সন্দেহজনক বা বড় অঙ্কের লেনদেনে ব্যাংক বা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কর্তৃক যথাযথভাবে যাচাই বা পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।
এই নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর করা হবে বলেও সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে ২০২১ সালে জারি করা সার্কুলারে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশ ব্যাংক সব ধরনের লেনদেন কিউআর কোডভিত্তিক করতে চায়। এ জন্য আলাদা বাংলা কিউআর কোড চালু করেছে। আগামী বছর থেকে কিউআর কোডভিত্তিক সব লেনদেন হবে বাংলা কিউআর কোডের মাধ্যমে। ইতিমধ্যে যেসব ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান কিউআর কোড চালু করেছে, তাদেরও চলতি বছরের মধ্যে বাংলা কোডে যেতে হবে। এভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক সারা দেশে একই রকমের কোডভিত্তিক লেনদেন ছড়িয়ে দিতে চায়।