বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী,গত অক্টোবরে একজন গ্রাহক অন্য গ্রাহককে ১৯ হাজার ৭১০ কোটি টাকা স্থানান্তর করেছেন মোবাইলে লেনদেন সেবা এমএফএস ব্যবহার করে। এই মাধ্যমে কেনাকাটা হয়েছে ২ হাজার ৯৫৩ কোটি টাকা। এছাড়াও সরকারি ভাতা বিতরণ হয়েছে ৪৪ কোটি টাকার, বেতন দেয়া হয়েছে ২ হাজার ৩৮৭ কোটি টাকা ও মোবাইল রিচার্জ হয়েছে ৬৬৬ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই হিসাব বলছে, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ৪৩ শতাংশ লেনদেনই হচ্ছে এখন ক্যাশলেস। আর প্রায় ৫৭ শতাংশ লেনদেন হচ্ছে নগদ অর্থ জমা ও উত্তোলনে।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ সালের একই সময়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাত্র ৩০ শতাংশ ছিল ক্যাশলেস লেনদেন। আর ৭০ শতাংশ লেনদেন হতো নগদ অর্থ জমা ও উত্তোলনে। সেই হিসাবে, দুই বছরের ব্যবধানে ডিজিটাল লেনদেন বাড়ছে, তার বিপরীতে কমেছে নগদ অর্থ জমা ও উত্তোলন।
ডাক বিভাগের ‘নগদ’ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক ১৩টি এমএফএস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের তথ্য নিয়ে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা গেছে, গত বছরের অক্টোবরে এই সেবায় লেনদেন হয়েছে ৬৭ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা, সেপ্টেম্বরে যা ছিল ৬৫ হাজার ১৪১ কোটি টাকা।
সদ্য বিদয়ী বছরের অক্টোবরে মোট লেনদেনের মধ্যে টাকা জমা হয়েছিল ২১ হাজার ৪৯ কোটি ও উত্তোলিত হয়েছিল ১৭ হাজার ৬৮১ কোটি। ফলে মোট লেনদেনে ৫৭ শতাংশই ছিল জমা ও উত্তোলন। বাকি ৪৩ শতাংশ লেনদেন হয়েছে ক্যাশলেস। এর আগে গত বছরের মে মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সর্বোচ্চ ৭১ হাজার ২৪৬ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল। আর ওই বছরের প্রথম মাসে লেনদেন হয়েছিলো ৫৭ হাজার ২৮৯ কোটি টাকার। ফেব্রুয়ারিতে কমে যায় ৫৫ হাজার ৫৫ কোটি টাকায়। মার্চ থেকে মে পর্যন্ত নিয়মিত মোবাইলে লেনদেন বাড়তে থাকে। এরপর জুলাইতে একটু কমে ৬৬ হাজার ৩৮৭ কোটি টাকা লেনদেন হয়ে তা ধারাবাহিক ভাবে বাড়তে থাকে।