দেশের সব থানা ও কারাগারে প্রকৃত কয়েদিদের শনাক্তে আঙুল ও তালুর ছাপ এবং চোখের মণি (রেটিনা) স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক ডাটা পদ্ধতি চালুর বিষয়ে মঙ্গলবার (৫ জুলাই) হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের স্বাক্ষরের পর ৬ পৃষ্ঠার রায়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে তিনটি নির্দেশনা দেন আদালত। নির্দেশনা অনুযায়ী, বিদ্যমান ব্যবস্থার সঙ্গে সব থানায় আসামির হাতের আঙুল ও তালুর ছাপ, চোখের মণি স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির প্রচলন; গ্রেফতারের পর আসামির সম্পূর্ণ মুখের ছবি (Mugshot photographs) ধারণ ও কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডারে সংরক্ষণ (integrated)। এবং দেশের সব কারাগারে আঙুল ও হাতের তালুর ছাপ, চোখের মণি সংরক্ষণের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক তথ্য সংরক্ষণ সিস্টেম চালু করতে হবে।
এর আগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর দেশের সব থানা ও কারাগারে প্রকৃত কয়েদিদের শনাক্তে আঙুল ও তালুর ছাপ এবং চোখের মণি স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক ডাটা পদ্ধতি চালুর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত রিটের প্রেক্ষিতে জারি করা রুলের শুনানি শেষে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। পাশাপাশি এ মামলার ভুল আসামি জহির উদ্দীনের বিরুদ্ধে জারি করা পরোয়ানা অবৈধ এবং আইন-বহির্ভূত ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, এক আবেদনের শুনানি নিয়ে জহির উদ্দীন নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে জারিকৃত পরোয়ানার বিরুদ্ধে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি গত ২৮ জুন দেশের সব জেলখানায় কয়েদিদের শনাক্তে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও আইরিশ স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক ডাটা পদ্ধতি চালু করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত একটি আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমানের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, আইন মন্ত্রণালয় সচিব ও কারা মহাপরিদর্শককে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।