ফেসবুক, গুগল, ইয়াহু ও অ্যামাজনসহ সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে রাজস্ব নিতে এনবিআরকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে কিভাবে কত টাকা রাজস্ব নেয়া হবে তার একটি হলফনামা হাইকোর্টে দাখিল করতে হবে।
বিচারপতি আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত এক রায় প্রকাশ করেছেন আদালত। রায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন, ডোমেইন বিক্রি ও লাইসেন্স ফিসহ সব লেনদেন থেকে মুসক এবং টার্নওভার কর, সম্পূরক শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর ও আয়কর বকেয়াসহ আদায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) এ নির্দেশ প্রতিপালন করতে বলা হয়েছে। এটা বাংলাদেশের জনগণের ন্যায্য পাওনা বলেও মন্তব্য করেছেন আদালত।
এর আগে ঘোষিত হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের পর্যবেক্ষণে এমন মন্তব্য করেছেন আদালত। আগে দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানান রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবীর পল্লব।
বাংলাদেশে ব্যবসা করতে হলে এসব প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন করতে হবে বলেও রায়ে বলা হয়েছে।
২০১৮ সালে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরে হাইকোর্টে রিট করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. হুমায়ুন কবির পল্লব, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছারসহ ছয় আইনজীবী জনস্বার্থে রিটটি দায়ের করেন। পরে হাইকোর্ট এ বিষয়ে রুল জারি করেন। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ২০২০ সালের ৮ নভেম্বর রায় দেন হাইকোর্ট।