গ্রহককে না জানিয়ে সরকারি-বেসরকারি মোবাইল অপারেটর কোম্পানি থেকে কললিস্ট বা কল রেকর্ড সংগ্রহ বন্ধ করতে অভিমত দিয়েছে উচ্চ আদালত। বিচারপতি মো. শওকত হোসেন, মো. রুহুল কুদ্দুস ও এ এস এম আব্দুল মোবিনের সমন্বয়ে গঠিত বৃহত্তর বেঞ্চ পূর্ণাঙ্গ রায়ে এমন পর্যবেক্ষণ দিয়ে অভিমত দেন। পর্যবেক্ষণে এই কাজটি সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
রায়ে ফরমাল রিকুইজিশন ও গ্রাহককে অবহিতকরণ ছাড়া কললিস্ট বা কল রেকর্ড সংগ্রহ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে বলে অভিমত দিয়ে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে।
রায়ে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা বজায় রাখার সাংবিধানিক ম্যান্ডেট রক্ষার জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন এবং বাংলাদেশে পরিচালিত ফোন সংস্থাগুলোর একটি বৃহৎ দায়িত্ব রয়েছে। সংবিধানের সাথে মেলে না এমন আইনের অনুমতি না থাকলে তারা (কোম্পানিগুলো) তাদের গ্রাহক ও দেশের নাগরিকদের যোগাযোগ সম্পর্কিত কোনো তথ্য কাউকে সরবরাহ করতে পারে না।
এছাড়াও ডিজিটাল ডকুমেন্টকে সাক্ষ্য হিসেবে নিতে এভিডেন্স অ্যাক্টও সংশোধন করতে মতামত দিয়েছেন আদালত। সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের বিচারকদের স্বাক্ষরের পর রায়টি গত ২৬ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৪৯ পৃষ্ঠার এই রায় প্রকাশ করা হয়।
মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের জানান আইনজীবীরা।