ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (ওআইসি) থেকে বিদ্যুত ও তড়িৎ প্রকৌশলে স্নাতক পরীক্ষা দিয়েই ২০১৪ সালে দেশের প্রথম মোবাইল অপারেটর সিটিসেল-এ শুরু করেন ক্যারিয়ার। এক বছরের মাথায় যোগ দেন বাংলালিংক-এ। এরমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে এমবিএ সেরে ফেলেন। লন্ডন বিজনেস স্কুল থেকে সার্টিফেকশনও করেছেন তিনি। আর ২০০৮ সালে বাংলাদেশ থেকে চলে যান বাংলালিংক এর মালিকানা প্রতিষ্ঠান ওরাসকম টেলিকম হোল্ডিংস এর প্রধান কার্যালয় মিশরে। এরপর ইতালি, আলজেরিয়া ও লেবানন এর শীর্ষ টেলিকমে শীর্ষ পদে চাকরি শেষে দেশে ফিরে আসেন ২০১২ সালে। দায়িত্ব নেন বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনস এর হেড অব কোয়ালিটি অ্যান্ড সার্ভিস হিসেবে। সেখান থেকে ২০১৮ সালে ই-কমার্স জায়ান্ট দারাজ বাংলাদেশ এর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন খন্দকার তাসফিন আলম। যুক্ত আছেন ই-কমার্স বাংলাদেশ- ই-ক্যাবের কার্যনির্বাহী কমিটির পরিচালক হিসেবে। টেলিকম থেকে দ্রুত বর্ধনশীল ই-কমার্স খাতটা কেমন দেখছেন, ভবিষ্যতটাই বা কেমন, কেন ই-কমার্স খাত হোঁচট খাচ্ছে এমন নানা বিষয়ে তার সঙ্গে আলাপ করেছেন ডিজিবাংলাটেক.নিউজ এর নির্বাহী সম্পাদক ইমদাদুল হক।
ডিজিবাংলাটেক: কেমন চলছে আমাদের ই-কমার্স খাত?
খন্দকার তাসফিন আলম: ইন্ডাস্ট্রি ভালোই চলছে। প্রতি নিয়ত নতুন নতুন সেলার যুক্ত হচ্ছে। অফলাইন থেকে অনলাইনে কনভার্সন হচ্ছে। আমরা নতুন নতনু কাস্টমার পাচ্ছি। বিভিন্ন এমএফএস এবং ফুড, রাইডশেয়ার প্রত্যেকেই প্রতিনিয়ত তাদের কাস্টমার বাড়িয়ে যাচ্ছে। এটা অবশ্যই আশার বিষয়। এছাড়া ক্যাশ অন ডেলিভারি থেকে ক্যাশলেস ডেলিভারিও বাড়ছে। গত এক বছরে সিওডি থেকে ক্যাশলেস ডেলিভারি ১০-১৫ শতাংশ বেড়েছে। তারপরও এখনো ৬০ শতাংশই সিওডি-তে হয়। ফেসবুক নির্ভর ব্যবসায় এই ধরনের লেনদেন বেশি হয়। এর পেছনে বড় কারণ হচ্ছে- গত ২-৩ বছর আগে একটি বড় স্ক্যাম হয়েছিলো। এখনো যে কঞ্জুমার ট্রাস্টটা আছে ক্যাশ অন ডেলিভারির ওপরে। তবে ট্রাস্টের বাই প্রোডাক্ট হিসেবে এখনো তারা সিডওডি-তেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। অবশ্য একসময় আমরা আশা করিছিলাম, আমরা ৮০ শতাংশের বেশি ট্রাঞ্জেকশান ক্যাশলেস করতে পারবো। সেখান থেকে আমরা হয়তো এখনো প্রত্যাশার চেয়ে আমরা কিছুটা পিছিয়ে আছি। তবে যেহেতু আমরা এখন ট্র্যাস্ট বিল্ডিং পর্যায়ে আছি, সেহেতু নাম্বারটা খারাপ না।
ডিজিবাংলাটেক: বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আমাদের অবস্থান কোন পর্যায়ে রয়েছে?
খন্দকার তাসফিন আলম: উপমহাদেশের তুলনায় বাংলাদেশ কোনোভাবেই পিছিয়ে নেই। আরো ৫টি দেশে দারাজ এর অপারেশনের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, বাংলাদেশের অবস্থা খুবই ভালো। অন্তত দক্ষিণ এশিয়ায়। ইয়ার অন ইয়ার আমরা দারাজে মোটের ওপর শতভাগ প্রবৃদ্ধি দেখছি। এই সংখ্যাটা পুরো ইন্ডাস্ট্রির জন্য প্রযোজ্য নয়। যেহেতু দারজই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মার্কেট প্লেয়ার, সেক্ষেত্রে ইয়ার অন ইয়ার যে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে তা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভালো অবস্থানে আছে। কিন্তু আরো দূরে যেতে হবে। কেননা, যদিও আমরা বলছি ইন্টারনেট পেনিট্রেশন বাড়ছে; কিন্তু ৪জি পেনিট্রেশনে এখনো গ্যাপ আছে। অবশ্য টেকনোলজি প্লাটফর্ম হিসেবে ই-কমার্স অলরেডি ইন্টারনেট এর সঙ্গে কাস্টমারের এক্সপেরিয়েন্ট কো-রিলেট করে। একইভাবে আমাদের এখনো অনেকের টেকনিক্যাল ট্রেনিং এর অভাব রয়েছে। তাই যত বেশি ডিজিটাল ডিভাইড কমবে তত বেশি সেলার আমরা অনবোর্ড করতে পারবো। মূলত তরুণ বা মধ্য বয়সের নিচের মানুষ আমাদের গ্রাহক। এর বাইরে যে বড় অংশ রয়েছে, যারা স্কুল গোয়িং; এখনো আয় করে না তারা বেশি মাত্রায় টেক স্যাভি। তাই তারা যখন জব মার্কেটে ঢুকবে; তাদের যত বেশি বায়িং ক্যাপাসিটি বাড়বে, তখন এই প্রবৃদ্ধি ২-৩ গুণ বাড়বে। এখনো টোটাল ইকোনিমির মধ্যে ইকমার্সের কন্ট্রিবিউশন দুই শতাংশের নিচে। এটা যতক্ষণ পর্যন্ত না ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত এই ইন্ডাস্ট্রি সিগনিফিকেন্ট রোল প্লে করতে পারবে না। সবকিছু মিলিয়ে সামনের দিনগুলো খুবই আশাব্যঞ্জক। এখনো আর্লি গ্রোথ স্টেজে আছি।
ডিজিবাংলাটেক: করোনার পর ই-কমার্স খাতের গতি ধরে রাখতে কী আমরা সক্ষম হয়েছি?
খন্দকার তাসফিন আলম: করোনায় অনেকগুলো সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রি গ্রো করেছে। সেসময় নতুন-নতুন সার্ভিস গুলোর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়েছে। সেগুলো এখনো কন্টিনিউ সার্ভিস দিচ্ছে। করোনার পরবর্তী সময়ে যখন গ্লোবাল মার্কেটে একটু ঝিমিয়ে পড়লেও সবাই কিন্তু অফলাইনে ফিরে যায়নি। তখন পিক আওয়ারে তিনটি অর্ডার হলে এখন দুইটি অর্ডার হচ্ছে। আবার নতুন নতুন গ্রাহক যুক্ত হচ্ছে। তাই মোট অর্ডার কিন্তু ডিক্লাইন হয়নি। প্লাটফর্মগুলো ২০২০-২১ এর তুলনায় ডাবল অর্ডার পাচ্ছেন- এক্জিসটিং ও নিউ কাস্টমার উভয় ক্ষেত্রেই।
ডিজিবাংলাটেক: ই-কমার্স স্ক্যামের ধাক্কা সামলানো কি সম্ভব হয়েছে? কীভাবেই বা তা মোকাবেলা করছেন?
খন্দকার তাসফিন আলম: স্ক্যাম পরবর্তী সময়ে ইন্ডাস্ট্রি আস্তে আস্তে ঘুরে দারিয়েছ। সাধারণ কাস্টমারা দেরিতে হলেও ই কমার্স যে ডিসকাউন্ট নির্ভর কোনো সেক্টর নয় বরং আমাদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন এবং বাসায় বসে পছন্দের পণ্য হাতে পাওয়ায় একমাত্র মাধ্যম তা উপলব্ধি করতে পারছে। যে সকল প্লাটফর্ম প্রকৃত অর্থে ই কমার্স মডেল- এ ব্যাবসায় যুক্ত আসেন তারা সবাই এখনো তাদের সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে এন্ড স্ক্যাম বেসড প্লাটফর্ম গুলো কিন্তু ধীরে ধীরে হারিয়ে গেছে। কিন্তু এখনো সবাই কে সচেতন থাকতে হবে, যাতে পুরোনো স্ক্যাম গুলি নুতন নামে বা নুতন মোড়কে আবার সাধারণ ক্রেতাদের বিভ্রান্ত করতে না পারে।
ডিজিবাংলাটেক: ই-কমার্স কি শত ভাগ কাস্টমার স্যাটিসফ্যাকশান দিতে পারছে বলে মনে করছেন?
খন্দকার তাসফিন আলম: কোনো ইন্ডাস্ট্রি যখন গ্রোথ ফেজে থাকে তার অনেকগুলো লার্নিং থাকে। ইকো-সিস্টেমগুলোর ডেভেলপ হতে সময় লাগে। ই-কমার্স ক্রেতা মূলত পণ্যের ছবি দেখে কেনার সিদ্ধান্ত নেন । এখন যদি ছবিটি মডেল দিয়ে, ডিফরেন্ট এনভায়রনমেন্টে ফটোশ্যুট হয় তাতে লাইটিং এর কারণে ডিফরেন্ট লাগবে। প্র্যাকটিক্যালি প্রোডাক্টটি যখন কাস্টমার হাতে পান তখন ডিসস্যাটিসফাইড হন। আবার ৫০ টাকা দিয়ে কিনে ৫ হাজার টাকার মান প্রত্যাশা করা হয়। এটা প্রত্যাশার ক্ষেত্রে ঘাটতি। আসলে; অনলাইন মানেই ছাড় বা অফার মনে করা হলে বুঝতে হবে আপনার এসপেক্টেশানে ঘাটতি আছে। হ্যা, অনলাইনে বিভিন্ন ক্যাম্পেইন বা পার্টনারদের অফার থাকে। এটি অবশ্যই সাময়িক ব্যাপার। কিন্তু ঢালাও ভাবেই যদি মনে করা হয় অনলাইন থেকে কিনলেই ৫০ শতাংশ ডিসকাউন্টে কিনবেন তাহলে বিষয়টি এসপেক্টেশনের সমস্যা। তাই পণ্যের কোয়ালিটি-গ্রেড ও ফিচার এর মতো বিষয়ে বিক্রেতাদের স্বপ্রণোদিত হয়ে কাস্টমারদের বোঝাতে হবে। প্রাইস ভার্সেস কোয়ালিটি বিষয়টি এনসিওর করতে হবে। ‘ট্রান্সপারেন্সি’ এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই যখন চাহিদা-প্রয়োজন ও যেগান এর মধ্যে যে গ্যাপ আছে তা যতটাই দূর করা সম্ভব হবে ততটাই স্যাটিসফেকশনের মাত্রা বাড়বে।
ডিজিবাংলাটেক: স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্পে সঙ্গে ই-কমার্স খাতের চ্যালেঞ্জ কতটা সঙ্গায়িত করা গেছে?
খন্দকার তাসফিন আলম: ই-কমার্স স্মার্ট বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পিলার। এক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহারে প্রোডাক্টিভিটি অনেক বেশি মাত্রায় বাড়িয়ে প্রবৃদ্ধি অর্জন করাটাই স্মার্টনেস। আর এখন যারা ই-কমার্স এর সঙ্গে জড়িত তারা সবাই কিন্তু স্মার্ট টেকনোলজির সঙ্গে হ্যাবিচুয়েট। স্মার্ট বাংলাদেশের সুবিধা কিন্তু এরই মধ্যে মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে ই-কমার্স। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ই-কমার্স এর কোনো সাবসটিটিউট নেই। আর যে গ্যাপগুলো আছে তা সময়ের সাথে মিটিগেট হয়ে যাবে। তাই সেলাররা যত বেশি অফলাইন থেকে অনলাইনে ট্রান্সফার হবে; কাস্টমার সিওডি থেকে ক্যাশলেস হবে- ততো বেশি আমাদের গ্রোথ আসবে। ইকো সিস্টেম ডেভেলপ করবে। ই-কমার্স খাত যতটা গ্রোথ হবে লজিস্টিক ও ততটাই সমৃদ্ধ হবে। স্মার্ট লজিস্টিক স্ট্যাবলিশ করা গেলে এর বাই-প্রোডাক্ট হিসেবে সাপ্লাইচেইন ম্যানেজমেন্ট স্মার্ট হবে। তখন ইকোনোমিতে বড় অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
ডিজিবাংলাটেক: বাজারের যে অরজকতা বিদ্যমান তাতে ভারসাম্য আনতে ই-কমার্স খাত কী ধরণের ভূমিকা রাখছে?
খন্দকার তাসফিন আলম: বাজারের এ ধরণের সমস্যা মূলত ডিস্ট্রিবিউশন নয়; সোর্সিং এর। প্রোডিউসাররা সিন্ডিকেট করলে ই-কমার্স বেনিফিট দিতে পারবে না । তবে এক্ষেত্রে সোর্স নার্সিং করে মধ্যস্বত্ব বাদ দিয়ে বাজারে ভারসাম্য রাখা যায়। আর এ জন্য ডিস্ট্রিবিউশন ডিজিটালাইজেশন দরকার। দরকার প্রোপার ডাটা। তাহলেই ডিমান্ড অ্যান্ড সাপ্লাই ঠিক করা যাবে। এজন্য ডিজিটাল সাইলোগুলোকে সেন্ট্রালাইজ ফরম্যাটে আনতে হবে। প্রত্যেকটি পিলারকে একটি কমন প্লাটফর্মে আনতে হবে। তখনই আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের বেনিফিট পাবো। এজন্য সরকার ও আমাদের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন তৈরি করতে হবে। আর এই উদ্যোগটা সরকারকেই নিতে হবে। বিষয়টি এখনো পলিসি লেভেলে রয়েছে।
ডিজিবাংলাটেক: ই-কমার্স খাতে স্থানীয় নেতৃত্ব বা দেশীয় উদ্যোগ সফল না হওয়ার কারণ কী বলে মনে করছেন?
খন্দকার তাসফিন আলম: এর মূল কারণ এই ব্যাবসাটি অনেক বেশি ক্যাপেক্স সেন্ট্রিক। এখানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, কমপক্ষে ২-৩ বছর বিজনেস চালিয়ে নেয়ার মতো অর্থ না থকালে এই বাজারে আসা এবং টিকে থাকা কঠীন। কেননা মার্কেটটা এখনো ম্যাচিউর নয়। সীমিত বাজারে নতুন কাস্টমার আনার খরচটা খুবই বেশি। তাই ৭-৮ বছর টিকে থাকতে না পারলে এই খাতে ব্যবসা করা যায় না। এটা কেবল বাংলাদেশ নয়; সারা বিশ্বের চিত্রর একই। তাই যেসব এন্টারপ্রেনিউর পার্টিক্যুলার একটি সেক্টর নিয়ে কাজ করছে তারা ভালো করছে। তবে ই-কমার্সে বিক্রি মানেই প্রফিট নয়। এখানে টেকনোলজি এবং বিজনেস ইনোভেশনটাই মুখ্য। এখানেই অনেকেই পিছিয়ে থাকে।
ডিজিবাংলাটেক: কেন ই-কমার্স কে পেশা হিসেবে বেছে নিলেন? পেশা হিসেবে ই-কমার্স খাতকে প্রতিষ্ঠিত করতে করণীয় কী?
খন্দকার তাসফিন আলম: আমার পুরো ক্যারিয়ার টেলিকমে ছিলো। স্নাতক শেষ করেই ফ্রেশ ইঞ্জিনিয়র হিসেবে আমার যাত্রা শুরু করি। প্রায় ১৫ বছর সেখানে কাটাই। এর পর টেকনোলজির সবচেয়ে কাছের খাত হিসেবে ই-কমার্সে আসি। নতুন খাতের শুরুতেই যুক্ত হলে সেখানে বেশি বেশি কন্ট্রিবিউশন করা যায়; এই ধারণা থেকেই মূলত এই ক্যারিয়ারকে এই বেছে নিয়েছি। আর আগামীর দিন হবে ই-কমার্সের। এটা ভবিষ্যতের চাহিদা। এখন প্রযুক্তি যুগ। তাই যেই তরুণরা এখন আন্ডার গ্র্যাজুয়েট তাদেরকে টেকনোলজি স্কিল বিশেষ করে ডিজিটাল মার্কেটিং, এআই নিয়ে প্রাক্টিস করার পাশাপাশি বেসিক বিজনেস ও পার্সনাল নেটওয়ার্কিং স্কিল ডেভেলপ করার পরামর্শ দেবো।
ডিজিবাংলাটেক: বছর শেষের ব্যস্ত সময়ের মধ্যে সময় দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
খন্দকার তাসফিন আলম: আপনাকেও ধন্যবাদ। ডিজিবাংলাটেক এর পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীদের আগাম নতুন বছরের শুভেচ্ছা।