সাত বছর পর গত ৭ এপ্রিল গণভবনে অনুষ্ঠিত হয় ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের তৃতীয় সভা। এই সভায় এবার ছিলো ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ এর জয়। কেননা সভাতেই বিদেশি ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ ছেড়ে দেশে তৈরি ‘ওয়ালটন ল্যাপটপ’ দিয়ে সভা পরিচালনা করেন টেক্সফোর্সের চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আর ফেরার সময় উপস্থিত ৩৯ সদস্যকেই উপহার হিসেবে দেয়া হয় ওয়ালটনের কোর আই সেভেন (এমএক্স সেভেন) ট্যামারিন্ড ল্যাপটপ। মন্ত্রী, সচিবদের পাশাপাশি এই উপহার পেয়েছেন উপস্থিত ব্যবসায়ী নেতারাও। তালিকায় থাকা নেতাদের মধ্যে কেবল সভায় অনুপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি সুব্রত সরকার।
উপহারটা অনেকটাই ‘অপ্রত্যাশিত’ হলেও এটা দেশের ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ অভিযাত্রাকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক।
ই-ক্যাব সভাপতি শমী কয়াসার বললেন, এটা আমার কাছে খুবই মূল্যবান একটা উপহার। এই উপাহারে আমি আমার অস্তিত্বের গন্ধ পাই।
সভার সদস্য হিসেবে এই উপহার পেয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিনও।
এছাড়াও এই একই উপহার পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয় ও বুয়েটের কম্পিউটার বিভাগের প্রধানরাও।
সভায় প্রধানমন্ত্রী দেশে উৎপাদিত প্রযুক্তিপণ্য ওয়ালটন ল্যাপটপ ব্যবহার করে দেশীয় প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে উৎসাহ প্রদান করেন ও সেই সাথে ভিশন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় টাস্কফোর্সে ব্যবহৃত হয়েছিলো এইচপি’র ল্যাপটপ। টাস্কফোর্সের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগকে পরবর্তী লক্ষ্য পূরণে নতুন মাত্রা যোগ করবে এবং জ্ঞান ভিত্তিক অর্থনীতিতে রূপান্তরে উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের উদ্যোমে প্রাণ সঞ্চার করবে বলে মন্তব্য করেছেন ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং কম্পিউটার বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী লিয়াকত আলী।
তিনি জানান, আইসিটি বিভাগের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এই উপহার দিয়েছেন। এজন্য আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।