ভোরের আলো ফোটার সময় নিউজিল্যান্ডের মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে উড়ল লাল-সবুজ পতাকা। নিউজিল্যান্ডকে তাদের মাটিতে প্রথমবারের মতো টেস্ট হারিয়ে সারা দেশে উৎসবের উপলক্ষ এনে দিয়েছে টাইগাররা। ম্যাচ শেষে ড্রেসিং রুমে সবাই গেয়েছেন ‘আমরা করব জয়’গান। এমন ঐতিহাসিক জয়ের খবর ভার্চুয়াল দুনিয়া হয়ে ছুঁয়ে গেছে সারা দেশের মানুষকে।
গৌরবের সেই মুহূর্ত উপভোগ করতে ইউটিউবে হুমড়ে পড়ছেন নেটিজেনরা। ৫ দিনে ম্যাচের হাইলাইট ভিডিওগুলো কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানের ভিউ সংখ্যা ছাড়িয়েছে কোটি অঙ্কে।
নিউজিল্যান্ডকে তাদের মাটিতে ৮ উইকেটে হারিয়ে যে ইতিহাস গড়েছে টাইগাররা; সেটা নিঃসন্দেহে অন্যসব ম্যাচের তুলনায় অনেক বেশি আনন্দের। যে দেশের মাটিতে গত এগারো বছরে জয় পায়নি ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা। সে দেশেই বাজিমাৎ করে দেখাল মুমিনুলরা।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নেটের কল্যাণে তা মুহূর্তেই পৌঁছে গেছে খেলোয়াড়দের মুঠোফোনে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে আপলোড করা হয়েছে জয় উদযাপনের ভিডিও।
কিউইদের হারানো দলের বন্দনায় মেতেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ফুটবলাররাও।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া লিখেছেন, ‘নিউজিল্যান্ডে থাকা ভাইদের কাছ থেকে অসাধারণ, অনুপ্রেরণামূলক একটা জয় উপহার পেলাম। অভিনন্দন বাংলাদেশ।’
সহ-অধিনায়ক তপু বর্মণ লিখেছেন, ‘এক সাহসী, অসাধারণ পারফরম্যান্স। বিশ্বজুড়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা বাংলাদেশের জয় উদ্যাপন করবে।’
শুধু দেশের ফুটবলাররাই নন, অভিনন্দন এসেছে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইংলিশ ফুটবলার হামজা চৌধুরীর পক্ষেও, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেটের কী অসাধারণ এক জয়! অভিনন্দন!’
করোনার ক্ষত নিয়ে ‘অভিনন্দন’ জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলকও। এই জয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সকল খেলোয়াড়, কোচ, কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল।