গতবছরের ৫ ফেব্রুয়ারি মেটাভার্স ব্যবহারকারীদের হয়রানি ও যৌন নিপীড়ন থেকে রক্ষা করতে ‘ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বেষ্টনী’ বা ‘পার্সোনাল বাউন্ডারি’ নামক ফিচার আনার ঘোষণা দিয়েছিলো ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা প্ল্যাটফর্মস ইনকর্পোরেটেড। তবে সেই নিরাপত্তা বেষ্টনী ছাপিয়ে এবার যুক্তরাজ্যে অনলাইন জগত মেটাভার্সে গেম খেলার সময় ‘ভার্চ্যুয়ালি গণধর্ষণের’ শিকার হয়েছেন ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরী। সূত্র : ডেইলি মেইল
বুধবার (৩ জানুয়ারি ২০২৪) যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্ট জানিয়েছে, মেটাভার্সে কিশোরির অবতারকে গণধর্ষণ করেছে একদল অজ্ঞাত পুরুষ অবতার। ভার্চ্যুয়ালি ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর ওই কিশোরী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্তও শুরু করেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, বিশ্বে এবারই প্রথমবার ভার্চ্যুয়াল ধর্ষণের ব্যাপারে তদন্ত করা হয়েছে।
নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদন অনুসারে, কিশোরী মেয়েটি যখন ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বা ভিআর হেডসেট পরে গেমে নিমগ্ন ছিল, তখন একদল অপরিচিত পুরুষ অবতার তাকে ধর্ষণ করে। এতে সে শারীরিকভাবে আহত হয়নি। তবে ভার্চুয়ালি ধর্ষণের শিকার হওয়ায় সে মানসিকভাবে আঘাত পেয়েছে। মেয়েটির মনে হচ্ছিল, বাস্তবেই তার সঙ্গে এমন নৃশংস ঘটনা ঘটেছে।
তবে বিচিত্র এ ঘটনাটি প্রথম সামনে আনে ডেইলি মেইল। ওই কিশোরী শারীরিকভাবে কোনো আঘাত না পেলেও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। মামলা সংশ্লিষ্ট এক সিনিয়র অফিসার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আচরণটি ভুক্তভোগীর ওপর গভীর মানসিক প্রভাব ফেলেছে। এটি শারীরিক আঘাতের চেয়ে অনেক কঠিন।
ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, বিদ্যমান আইন অনুসারে এ অপরাধের বিচার করা অসম্ভব হতে পারে। কেননা সম্মতি ছাড়াই যৌন পদ্ধতিতে শারীরিক স্পর্শকে যৌন নিপীড়ন হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। ভার্চুয়ালি গণধর্ষণের বিষয়টি সামনে আসার পর নড়েচড়ে বসেছে ব্রিটিশ প্রশাসন। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সরব হয়েছেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র সচিব জেমস ক্লিভারলি। ভুক্তভোগী ওই কিশোরীকে তিনি প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তার ঘোষণা করেছেন। এ ছাড়া এ ধরনের ঘটনা যাতে আগামী দিনে না ঘটে সেজন্য সরকার প্রয়োজনীর ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন তিনি।