রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলমান ডিজিটাল প্রযুক্তি মেলায় প্রথমবারের মতো ৫-জি অভিজ্ঞতা নিতে পারছে দেশের সাধারণ মানুষ। হুয়াওয়ের প্যাভিলিয়নে এই সুযোগ মিলবে আরো দুই দিন।
সকালে মেলা উদ্বোধন করে হুয়াওয়ে পরিবেশিত ১.৬ জিবিপিএস গতির ৫জি লাইভ পরখ করেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
মেলায় আগত একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মিলন বলেন “এই মেলার আয়োজন একটি দারুন উদ্যোগ। আরও নতুন প্রযুক্তি আসলে আমাদের জীবনে কি প্রভাব পড়বে, কতটা সহজ হবে আমাদের জীবন , তার একটা ধারণা পেলাম এখানে। হুয়াওয়ে প্যাভিলিওনে আমি ৫জি উপভোগ করলাম। বুঝতে পারলাম, ভবিষ্যতে কতটা দ্রুত হবে আমাদের কাজ। আমরা সারাদেশে ৫ জি’র অপেক্ষায় থাকলাম।“
২০১৮ সালের ২৫ জুলাই বাংলাদেশে ৫-জি সেবা পরীক্ষায় মূখ্য ভূমিকা পালন করেছিলো হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড। তখন ৮০০ মেগাহর্স স্পেকট্রাম ব্যবহার করে প্রতি সেকেন্ডে সর্বোচ্চ ৪ জিবি পর্যন্ত ইন্টারনেট গতি পাওয়া গিয়েছিলো। সেখানে এখন মাত্র ১০০ মেগাহর্স স্পেকট্রাম (গতবারের ৮ ভাগের এক ভাগ) ব্যবহার করেই প্রতি সেকেন্ডে ১.৪ জিবি থেকে ১.৭ জিবি পর্যন্ত গতিতে ডেটা ট্রান্সফার করা সম্ভব হবে। দর্শনার্থীরা আজ মেলার উদ্বোধনী দিনেই সেকেন্ডে ১.৬ জিবি গতিতে ডেটা ট্রান্সফারের অভিজ্ঞতা অর্জন করলেন। ৫-জি’র উন্নয়ন ও গবেষণায় হুয়াওয়ের দীর্ঘ দিনের অবিরাম প্রচেষ্টার ফলেই এটি সম্ভব হয়েছে। ৫জি’র অত্যাধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও গবেষণায় গত ১০ বছর কাজ করছে হুয়াওয়ে আর এর মধ্যেই এজন্য ব্যয় করেছে চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিইও ঝাং ঝেংজুন বলেন, “প্রযুক্তিগত সুবিধাকে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে গত ২১ বছর ধরে এদেশের আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি, টেলিকম অপারেটর ও স্থানীয় সহযোগীদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে হুয়াওয়ে। এখন ৫-জি চালু হয়েছে এবং হুয়াওয়েও প্রস্তুত। ৫জি’র গবেষণা ও উন্নয়নে আমরা এক দশক ধরে কাজ করছি, যেখানে গত ১০ বছরে ব্যয় হয়েছে প্রায় চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ৫-জি গবেষণা ও উন্নয়নে আমরাই শীর্ষস্থানীয় এবং ২১ হাজারেরও বেশি থ্রিজিপিপি ৫জি এনআর সমেত ৫-জি পেটেন্টও আমাদের সবচেয়ে বেশি।“