মুখোমুখি নয়, বেসিস ও আইসিটি বিভাগ পাশাপাশি একসাথে সামনের দিকে চলতে চায় বলে জানিয়েছেন আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী। এর ফলেই আজ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বেসিস-কে বেসিস ই গভঃ হাব ওয়েবসাইট উপহার দেয়া হলো। ব্রেইন ড্রেইন নয়, ব্রেইন গেইন করতেই দেশীয় সটওয়্যার কোম্পানিকে বেড়ে উঠতে সরকার সব ধরনের সহায়তা করবে।
ট্রান্সফর্মিং লাইফ থ্রু ইনোভেশন প্রত্যয়ে রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে (আসিসিবি) অনুষ্ঠিত ষোড়শ বেসিস সফটএক্সপো’র সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এমন প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ১১ বছরে সরকার যতগুলো নীতি গ্রহণ করেছে তার সবগুলোই বেসিসের সঙ্গে আলোচনা করেই করেছে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত স্বপ্ন পূরণে তার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস কাজ করছে। তাঁর সুযোগ্য সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয়ের সৎ নেতৃত্বে প্রকৃতিক দুযোর্গ ও দুর্নীতিগ্রস্ত দেশকে তারুণ্য ও প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আজ সফটওয়্যার রপ্তানিতে বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করছে।
তিনি জানান, আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে ইতিমধ্যেই ৫৬টা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ২৫টি মন্ত্রণালয়ের সার্ভিস ডিজাইন ল্যাব করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেখা গেছে সরকারের ৯০ শতাংশ সেবার ডিজিটাল রূপান্তরের প্রথম ধাপে গৃহীত ২৮০০ সেবার ডিজিটাল করণের অভিযাত্রায় ৬০০ সেবা ইতিমধ্যে রয়েছে। আরো ২২ শ’ সেবা ডিজিটাল প্লাটফর্মে আনতে হবে। আইসিটি বিভাগ, এটুআই এবং বেসিস সমন্বিত ভাবে কাজ করার ফলে এসব সেবা ডিজিটাল প্লাটফর্মে আনা গেছে। বৈশ্বিক সূচকে ই-গভর্নেন্সে বাংলাদেশের অবস্থান উন্নত হচ্ছে। এখন আমাদের অবস্থান ১১৫। ২১ সালের মধ্যে ৯৯তম এবং ২৫ সালের মধ্যে পৃথিবীর শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে থাকতে কাজ করছে সরকার। এজন্য যে সফটওয়্যার দরকার তা বিদেশ থেকে আমদানী না করে, দেশের তথ্য বিদেশী কোম্পানীর কাছে হস্তান্তর না করে দেশীয় সফটওয়্যার কোম্পানির মাধ্যমেই দেশের সমস্যাগুলোর সমাধান করা হবে।
পলক বলেন, আমি আশা করি, পাইলট প্রকল্প দিয়ে বেসিস সদস্যভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো আগামী ৫ বছরের মধ্যে ইউপ্রো, ইনফোসিস এর মতো বিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হবে। এর প্রথম উপহার ই-গভঃ হাব। আগামী ২ বছরে সরকারের যে দুই হাজার কোটি টাকার সফটওয়্যার প্রয়োজন হবে তা দেশীয় কোম্পানির মাধ্যমে করা হবে।