তরুণদের উদ্ভাবনী ধারণা ও সমস্যার প্রাযুক্তিক সল্যুশন তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমে পলক। বলেছেন, ঐতিহাসিক ভাবে আমরা সমস্যা সামাধানের জাতি। ঝুঁকি গ্রহণের জাতি। তাই আমরা কোনো সমস্যার কথা বলবো না, সমাধান দেবো। শুধু দেশের নয়, বৈশ্বিক সমস্যারও সমাধন বের করবে আমাদের তরুণ উদ্ভাবক ও উদ্যোক্তরা।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে স্টার্টআপ ওয়ার্ল্ডকাপের বাংলাদেশ পর্বের গ্র্যান্ড ফিনালে বক্তব্য দিতে গিয়ে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ২০১৬ সাল থেকে স্টার্টআপ বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা শুরু হলে তখন আমরা দেশজুড়ে ৩০০টি অ্যাপ্লিকেশন পেয়েছিলাম। এর মধ্য থেকে ৫০টি স্টার্টআপ নির্বাচন করা হয়েছিলো। এরপর বাছাই করা ১০টি উদ্যোগকে ছোট অংকের তহবিল সুবিধা ও কাওরানবাজার সফটওয়্যার পার্কে জায়গা দিয়েছিলাম। তারা এখন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানির কাছ থেকে কয়েক মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ পেয়েছে।
পলক আরো বলেন, গত ৪ বছরে বিভিন্ন স্টার্টআপ থেকে আমারা ৫ হাজারের মতো আবেদন পেয়েছি। এর মধ্যে শতাধিক উদ্যোক্তাকে প্রি সিড মানি সরবরাহ করা হয়েছে। আরো ১০০ উদ্যোক্তা এখন স্টার্টআপ বাংলাদেশ প্লাটফর্ম থেকে আর্থিক সুবিধা পাওয়ার জন্য অপেক্ষমান। তারা এখন গ্রোথ স্টেজে আছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে এই বছরে ১০০ উদ্যোক্তাকে সহায়তা করা হবে। এ জন্য ইতিমধ্যেই আইসিটি বিভাগের অধীনে ফান্ড গঠন, কোওয়ার্কিং স্পেস এবং মেন্টরিং ও কোচিং সাপোর্ট এর ব্যবস্থা করা হয়েছে
রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) চলছে ষোড়শ বেসিস সফট এক্সপো। আজ রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) ভাঙবে হবে চার দিনের এই মিলন মেলা। নিয়মিত প্রদর্শনীর পাশাপাশি শেষ দিনে অনুষ্ঠিত হবে ৬টি আলোচনা সভা ও সেমিনার।
দিনের শুরুতেই বেলা সাড়ে ১১টায় ১ নং হলের দ্বিতী তলায় অনুষ্ঠিত হবে ভূমি প্রশাসনের ডিজিটাল রূপান্তরের ওপর আলোচনা সভা।
একই সময়ে ওই হলের নিচতলায় বসবে স্ট্যান্ডার্ড এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া বেঞ্চমার্কিং বিষয়ক সেমিনার।
অন্যদিকে সেমিনার হলে অনুষ্ঠিত হবে ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে ৫জি ও আইওটি’ বিষয়ক সেমিনার।
বিকেল ৩টায় ১ নং হলের দ্বিতীয় তলায় ‘ডিজিটাল ব্যাবসা : নীতি ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভা। একই সময়ে ‘স্থানীয় ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে ক্লাউড কম্পিউটিং’ নিয়ে সভা বসবে এই হলের নিচ তলায়।
অপরদিকে সেমিনার হলে অনুষ্ঠিত হবে ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে প্রযুক্তির ব্যবহারের সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ’নিয়ে সেমিনার।
বেসিস সফট এক্সপো ২০২০ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু করেছে ঔষধ সরবরাহ অনলাইন শপ ই-মেডিসিন২৮.কম। শুরুতে ঢাকার ভেতরে ২৪ ঘণ্টা অনলাইনে প্রয়োজনীয় ঔষধের ফ্রি হোম ডেলিভারে সেবা দিচ্ছে উইবিএনস টেকনলোজি’র এই ই-শপটি। ভাষার মাস জুড়ে ছাড় দিচ্ছে ৮ শতাংশ।
ফোনে, মোবাইলে, অনলাইনে, ফেসবুক পেজে কিংবা ওয়েব সাইটে প্রেসক্রিপশন আপলোডের মাধ্যমে খুব সহজেই অনলাইনে প্রয়োজনীয় ওষুধের অর্ডার করা যায় বলে জানালেন উইবিএনস টেকনলোজি’র অপারেশন ম্যানেজার রিজভী হাসান।
তিনি জানান, দেশের ৩০টি ঔষধ কোম্পানি থেকে সরাসরি ঔষধ সরবরাহ করেন তারা। ঔষধ সরবরাহ ছাড়াও তাদের অনলাইন থেকে চিকিৎসকের সিরিয়াল নেয়া এবং হেলথ কেয়ার সুবিধা দেয়া হয়।
আগামী দুই মাসের মধ্যে তারা অ্যাপের মাধ্যমেও ঔষধ সরবরাহ সেবা দেয়া শুরু করবেন বলেও জানান তিনি।