মাথা নেড়ে কিংবা চোখ কাঁপিয়ে কম্পিউটারে চুটিয়ে গেম খেলার হেলমেট ছাড়া চমকপ্রদ দেশী উদ্ভাবন নিয়ে আসন্ন বেসিস সফট এক্সপোতে হাজির হচ্ছেন দেশের ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে উদ্ভাবিত সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশন নির্ভর ২৩টি প্রোটটাইপ প্রযুক্তি পণ্য সেবার এই চমকের দেখা মিলবে আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) ‘পুষ্পগুচ্ছ’ হলে। সেখানে আরো দেখা মিলবে নিজে নিজে সিঁড়ি ভেঙ্গে ওপরের দিকে উঠতে সক্ষম রোবটের।
থকছে অ্যাপের মাধ্যমে বংলা কথোপকথন লিখে ফেলার অ্যাপ, বাংলা অক্ষরের ছবিকে কম্পিউটার ফন্টে পরিণত করা, ছবি পাঠ করে বাংলা ক্যাপশন লিখে দেবে, ইশার ভাষাকে স্ক্রিনে উপস্থাপন, টু-ডি থ্রিডি ছাড়াও যে কোনো বস্তুর রিয়েলিস্টিক ভিউ দেখার প্রকল্প।
প্রকল্প সমন্বয়ক আকাশ চন্দ্র দাস ডিজিবাংলা-কে জানালেন, মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জমা পড়া ৬৫টি প্রকল্প থেকে যাচাই বাছাই থেকে উদ্ভাবনী ২০টির বেশি প্রকল্প প্রোজেক্ট শো-কেসিং জোনে হাজির করা হবে। সেখানে এর উদ্ভাবকরাই উদ্ভাবনী এসব প্রযুক্তি দর্শকদের সামনে তুলে ধরবেন। এর মধ্যে অটিস্টিক শিশুদের দক্ষতা উন্নয়নের মতো আইওটি ভিত্তিক গেমিং অ্যাপ্লিকেশন যেমন আছে, তেমনি প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত ব্যক্তির গোপনীয়তা, নিরাপত্তা এবং স্বচ্ছ্বতা নিশ্চিত করার মতো ব্লকচেইন ভিত্তিক সল্যুশনও থাকছে।
বেসিস সফট এক্সপো ২০২০ এর আহ্বায়ক এবং বেসিস-এর সহ-সভাপতি (অর্থ) মুশফিকুর রহমান ডিজিবাংলা-কে বলেন, এবারের এক্সপো-তে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে একটি মেলবন্ধন রচনা করার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছি। এর ফলশ্রুতিতেই বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে উদ্ধাবিত প্রযুক্তি উদ্ধাবন নিয়ে আমরা ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ প্রত্যয়কে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চেষ্টা করছি। প্রোজেক্ট শো-কেসিং জোনকে আমরা আমাদের ভবিষ্যত প্রযুক্তির সুতিকাগার হিসেবেই দেখছি। এই সুতিকাগারকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যেতে ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে তাদের সেতুবন্ধন রচনা করে দিতে চাই। পাশাপাশি প্রথম তিনটি ইনোভেটিভ প্রজেক্টকে পুরষ্কৃত করে আরো উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।