ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দারাজ আগামী ৩-৪ বছরে বাংলাদেশে ১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। নতুন বিনিয়োগের মাধ্যমে কার্যক্রমকে আরও এগিয়ে নিতে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত অবকাঠামো সম্প্রসারণ এবং টেকসই ইকোসিস্টেম তৈরি আলিবাবা গ্রুপের অংশীদারিত্বের এই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর রূপসীবাংলায় ৮ বছর পূর্তি উপলক্ষে দারাজ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিয়ারকে মিকেলসেন এই ঘোষণা দেন।
মিকেলসেন বলেন, “দারাজ গ্রুপ থেকে এ মার্কেটকে সম্ভাবনাময় হিসেবে আমরা চিহ্নিত করেছি এবং এ দেশের ই কমার্স অবকাঠামো ও ইকোসিস্টেমের বিকাশে দারাজের শেয়ারহোল্ডাররা আগামী ৩-৪ বছরে এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে আগ্রহী। তরুণ ও ভবিষ্যৎ উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়নের পাশাপাশি আমাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশে টেকসই ই কমার্স ব্যবসা ও ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা।”
তিনি আরো বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের কেনাকাটার অভিজ্ঞতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে দারাজ। আট বছরে পূর্তির আনন্দ সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করতেই ক্রেতা–বিক্রেতাদের জন্য বিশেষ প্রচারণার আয়োজন করা হয়েছে।
এসময় দারাজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোস্তাহিদল হক বলেছেন, “আমরা স্বল্প সময়ে নিজেদের শীর্ষ অবস্থানে নিতে সফল হয়েছি। ৫০ হাজারেরও বেশি বিক্রেতা অংশীদারের সাথে, আমরা সারা দেশে ই-কমার্স উদ্যোগের দিগন্ত প্রসারিত করেছি। আলিবাবার অধিগ্রহণ আমাদের এই শক্তির পিছনে একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে।”
দারাজ বাংলাদেশের এগিয়ে চলায় আলিবাবার বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, ৬৪ জেলায় আমাদের পৌঁছানোর ইচ্ছা ছিল। এ ইচ্ছা থেকেই ২০২১ সালে শেষে আমরা সব জেলায় পৌঁছাতে পেরেছি। সব জেলার পাশাপাশি কিছু উপজেলায় আমাদের হাব অফিস আছে। ২০২২ সালে আমরা গ্রাহকের সেবা উন্নতির দিকে নজর দিয়েছি।
বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘মেগা ক্যাম্পেইন’ এর বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে দারাজ বাংলাদেশের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা মো. তাজদিন হাসান বলেন, দেশের ২ শতাংশেরও কম মানুষ অনলাইনে কেনাকাটা করেন। আমাদের জনসংখ্যা ১৬০ মিলিয়নের বেশি এখানে দারাজের মতো অনলাইন প্ল্যাটফর্মের অনেক বেশি সুযোগ আছে। এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ই-কমার্সের সম্ভাবনা আকাশছোঁয়া।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বর্তমানে ৭০ লাখের বেশি ক্রেতা ও ৪১ হাজার বিক্রেতা রয়েছে ই-কমার্স ওয়েবসাইট দারাজ ডটকমে। শুরুতে মাত্র পাঁচজন কর্মী নিয়ে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করলেও বর্তমানে প্রায় ছয় হাজার কর্মী কাজ করেন। বাংলাদেশে এখন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ৮০০।
সংবাদ সম্মেলনে দারাজ গ্রুপের সিওও জর্নিকা জাফিরোভা, চিফ অপারেটিং অফিসার খন্দকার তাসফিন আলম, চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার এএইচএম হাসিনুল কুদ্দুস রুশো, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সাব্বির হোসাইন ও চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার মো. রিয়াদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।