ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে পণ্য কেনাকাটায় চালু হওয়া এসক্রো সেবায় পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা গ্রাহকদের ফেরত দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে ১ নভেম্বর একটি রুল জারি করেছেন উচ্চ আদালত।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য কিনতে গিয়ে পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা গ্রাহকদের ফেরত দিতে রিট আবেদনের শুনানিতে এই নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এম. আব্দুল কাইয়ুম এবং ব্যারিস্টার সাবরিনা জেরিন।
এর আগে গত ২১ অক্টোবর)এ সংক্রান্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করেন ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা ‘কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি (সিসিএস)’।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে পণ্য কিনতে গিয়ে পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা গ্রাহকদের ফেরত দিতে এ রিট আবেদন করা হয়। সিসিএসের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সাবরিনা জেরিন এ রিট আবেদন করেন।
ই-কমার্সে পেমেন্টের ক্ষেত্রে ক্রেতার অর্থের সুরক্ষা দিতে চালু হয়েছে গেটওয়ে পদ্ধতি। কিন্তু গত জুলাই মাসের পর লেনদেন করা ২১৪ কোটি টাকা গেটওয়ে প্রতিষ্ঠানের কাছে আটকা আছে। সেই টাকা ফেরত দেয়া বিষয়ে এখনো কোনো উপায় বের করা হয়নি। ফলে অর্থ দাবি করে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে গ্রাহক, উপায় বের করতে পারছে না বাংলাদেশ ব্যাংক, মন্ত্রণালয়।
ই-পেমেন্ট গেটওয়ে বা ই-ওয়ালেট সেবা দিতে এখন পর্যন্ত ৯টি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে পেমেন্ট সার্ভিস অপারেটর বা ই-পেমেন্ট গেটওয়ে সেবার জন্য লাইসেন্স পেয়েছে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান। আর চারটি প্রতিষ্ঠানকে পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার বা ই-ওয়ালেট সেবার জন্য লাইসেন্স দেয়া হয়েছে।
পাঁচ পেমেন্ট সিস্টেমস অপারেটর (পিএসও) হলো: আইটি কনসালট্যান্টস, এসএসএল কমার্জ, সূর্যমুখী লিমিটেড, প্রগতি সিস্টেম ও পর্টোনিক্স লিমিটেড।