দেশে সম্ভাবনাময় খাত ই-কমার্স। আশার আলো জ্বলে উঠলেও গুটি কয়েক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে, ক্রমাগত সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে শুরু করছে এই খাত। এমন পরিস্থিতিতে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জ ও ধামাকায় শঙ্কা দেখা দিলেও স্বস্তির আশ্বাস পাচ্ছে ইভ্যালি গ্রাহক।
এদের মধ্যে এক লাখ গ্রাহকের প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জ শপের দুটি ব্যাংক হিসাব খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। গত ২০ জুলাইয়ের হিসাব অনুযায়ী, সেই দুটি ব্যাংক হিসাবে বর্তমানে আছে ৩ কোটি ১২ লাখ ১৪ হাজার ৩৫৬ টাকা।
এর আগে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ২টি। মামলা অনুযায়ী, ই–অরেঞ্জের মূল মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, মাসুকুর রহমান ও আমানউল্লাহ কারাগারে আছেন। এজাহারভুক্ত আসামি বীথি আক্তারসহ দুজন পলাতক। ফলে আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহকেরা।
অপর ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ধামাকা ডটকমে পণ্য সরবরাহ করে বিপদে পড়েছেন প্রায় সাড়ে ৬০০ ব্যবসায়ী। প্রতিষ্ঠানটি সরবরাহকারীদের ১০ দিনের মধ্যে মূল্য পরিশোধের কথা দিলেও ছয় মাসেও টাকা দেয়নি। এ অবস্থায় পাওনা ২০০ কোটি টাকা আদায়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর শরণাপন্ন হয়েছেন পণ্য সরবরাহকারী ব্যবসায়ীরা।
তারা পাওনা আদায়ে উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিকে চিঠি দিয়েছেন। ধামাকা শপিং ডটকম সেলার অ্যাসোসিয়েশন থেকে দেয়া হয় চিঠিটি।
এসব প্রসঙ্গে ই-কমার্স খাতের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন ই -কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ই-ক্যাবের পরিচালক আসিফ আহনাফ জানান, ই-কমার্সখাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সংগঠনটি সবসময়ই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে। দেয়া হচ্ছে নানান প্রস্তাবনা। একইসঙ্গে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর সদস্য পদ বাতিলের ঘোষণাও দেয়া হচ্ছে।
অপরদিকে আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি ঘোষণা দিয়েছে ২২ আগস্ট থেকে পুরোদেমে চালু করবে অফিস। আগামী ৫ মাসের মধ্যে পৌঁছে দেবে আগের সব অর্ডার। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভে এসে ই-ভ্যালি এমডি মোহাম্মদ রাসেল। এমন খবরে স্বস্তি ফিরেছে ই-ভ্যালির গ্রাহকদের মধ্যে।