রাস্তায় বিক্ষোভ করার একদিন পর মঙ্গলবার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জ শপের বিরুদ্ধে প্রতারণামূলকভাবে এক হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীরা। মামলায় ই-অরেঞ্জের ৫ কর্মকর্তাসহ সব মালিককে আসামি করা হয়েছে। মামলা নম্বর-১৪।
মামলায় অর্থ আত্মসাৎকারী হিসেবে যেসব আসামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন- মাসুকুর রহমান, আমানউল্ল্যাহ, বিথী আক্তার, কাউসার আহমেদ, সোনিয়া মেহজাবিনসহ আরও কয়েকজন। মামলার এজাহারে উল্লেখিত আসামিদের প্রত্যেককেই ই-অরেঞ্জের মালিক বলে দাবি করা হয়েছে।
বিকেলে ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান।
তিনি জানিয়েছেন, মো. তাহেরুল ইসলাম নামে এক ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে এই মামলাটি করেছেন। মামলায় তিনি ই-অরেঞ্জের ৫ কর্মকর্তাসহ সব মালিককে আসামি করেছেন। এছাড়াও মামলার এজাহারে এক হাজার ১০০ কোটি টাকা প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাতের কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।
মামলার এজাহারে তাহেরুল ইসলাম জানান, তিনি গত ২১ এপ্রিল পণ্য কেনার জন্য ই-অরেঞ্জে অগ্রিম টাকা দেন। তবে ই-অরেঞ্জ নির্ধারিত তারিখে পণ্য সরবরাহ করেনি। টাকাও ফেরত দেয়নি। নিজেদের ফেসবুক পেজে বার বার নোটিশ দিয়েছে, সময় চেয়েছে। কিন্তু পণ্য ও টাকা দেয়নি। সর্বশেষ তারা গুলশান-১ এর ১৩৬/১৩৭ নম্বর রোডের ৫/এ নম্বর ভবনে অবস্থিত অফিস থেকে পণ্য ডেলিভারির কথা বললেও তারা ডেলিভারি দেয়নি। এছাড়াও তারা যে বিভিন্ন আউটলেটের গিফট ভাউচার বিক্রি করেছিল, সেগুলোর টাকা আটকে রাখায় আউটলেটগুলো ভাউচারের বিপরীতে পণ্য দিচ্ছে না। আমরা এই করোনাকালীন সময় আমাদের কষ্টার্জিত অর্থ পাচ্ছি না, বরং প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা পরিবর্তন নিয়ে নতুন নতুন তথ্য পাচ্ছি। এছাড়াও আজ পর্যন্ত তারা ভুক্তভোগীদের কোনও পণ্য ডেলিভারি না করে এক লাখ ভুক্তভোগীর প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করেছে।
এর আগে, সোমবার বিকেলেরাজধানীর গুলশান-১ এর সড়ক অবরোধ শেষে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজার বাসার সামনে জড়ো হয়েছেন ই-অরেঞ্জের গ্রাহকরা। পরে রাতে ভুক্তভোগীদেরকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মামলা করার কথা বলেছিলেন ই-অরেঞ্জের সাবেক এই ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর।