ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির বিরুদ্ধে চলমান ভোক্তা অধিকারে সাড়ে ৬ হাজারেরও বেশি মামলা নিষ্পত্তি না করেই আবারও ব্যবসা শুরুর বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে কারণ দর্শানো চিঠি দেয়া হয়েছে। চিঠিতে মামলা নিষ্পত্তি না করে কীভাবে তারা ক্যাম্পেইন শুরু করলেন সেটিই জানতে চেয়ে সাত দিনের সময় বেধে দেয়া হয়েছে।
চিঠি দেয়ার বিষয়টি বুধবার (৩ জানুয়ারি) নিশ্চিত করেছেন ভোক্তা অধিকার মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
চিঠির বিষয়ে ভোক্তার ডিজি জানান, ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল এতদিন জেলে থাকায় ভোক্তা অধিকার মামলাগুলো নিষ্পত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারেনি। কিন্তু এখন যেহেতু তিনি কারামুক্তি পেয়েছেন সেহেতু মামলা নিষ্পত্তিতে ভোক্তা অধিকারের ওপর ভোক্তাদের চাপ রয়েছে। ভোক্তা অধিকারকে ভোক্তার স্বার্থ দেখে কাজ করতে হয়। তাই প্রতিষ্ঠানকে শোকজ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গ্রাহকদের মামলায় ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল এবং তার স্ত্রী কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেফতার করে র্যাব। গত বছরের ৬ এপ্রিল জামিনে মুক্তি পান শামীমা নাসরিন। এরপর ১৮ ডিসেম্বর বিকেলে কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে বের হন ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা মো. রাসেল।
কারামুক্তির কয়েকদিনের ২৩ ডিসেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ওয়ালে ‘বিগ ব্যাং’ শিরোনাম একটি পোস্টার পোস্ট করেন ইভ্যালি প্রতিষ্ঠাতা। ২৯ ডিসেম্বর বিগব্যাং অফার নিয়ে ফেসবুক লাইভে রাসেল বলেন, ‘ইভ্যালিকে ব্যবসা করতে দেয়া হলে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই গ্রাহকদের সব দেনা পরিশোধ করা হবে। আমি এটি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই বলছি। সেটি কীভাবে সম্ভব হবে তার সব উত্তর আমি দেব।’
এরপর দিন শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ইভ্যালির নতুন কার্যক্রমের ওপর নজর রাখতে ভোক্তা অধিদপ্তর ও প্রতিযোগিতা কমিশনের প্রতি আহ্বান জানায় বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। তারপরই এই চিঠি দেয়া হয়।
সূত্রমতে, এই চিঠি দেয়ার বিষয়টি যখন জানাজানি হয়, তখন ধানমন্ডিতে সরকারের গঠন করে দেয়া ই-ভ্যালি পরিচালনা পার্ষদের নিয়মিত বৈঠকে বসে। বৈঠক সূত্রে জানাগেছে, এর মধ্যে কারণ দর্শাও নোটিশের জবাবও দেয় হয়েছে।