ই-কমার্স ব্যবসায়কে স্বতন্ত্র্য ট্রেড লাইসেন্সের অধীনে আনা এবং উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ ঋণ সুবিধা দাবি করেছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। মেধাসত্ব অধিকার প্রক্রিয়া এবং দেশী পণ্য বিদেশে রপ্তানিকে ক্রসবর্ডার নীতিমালার অধীন নিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
‘ডিজিটাল ব্যবসা: নীতিমালা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব দাবি তুলে ধরা হয়। সেমিনারে উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে বলা হয়, দেশী ও বিদেশী প্রতিষ্ঠান, টেলকম ও প্রযুক্তি ব্যবসায়ী ডিজিটাল মিডিয়া ব্যবহার করে। দেশে বড় বড় কোম্পানিগুলো এই খাতে ৬০০-১০০০ কোটি টাকার বিপনন ব্যয় হচ্ছে। ছোট এবং ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো এফ কমার্সের মাধ্যমে ৩ লাখ প্রতিষ্ঠান এই খাতে বার্ষিক ১০০০ কোটি টাকা ব্যয় করে। সব মিলিয়ে এই খাতে ২০০০ কোটি টাকার বাজার তৈরি হয়েছে। আর পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে ১০০০ এর মতো এজেন্সি জড়িত। সেখানে ৫০-৮০ হাজার কর্মী রয়েছে। কিন্তু এই জায়গাটি এখনো উপেক্ষিত রয়েছে। নীতিমালার অভাবে বড় প্রতিষ্ঠানগুলো মানিলংন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে।
বেসিস সফট এক্সপোর শেষ দিনে রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে ই-বাণিজ্য বান্ধব নীতি ও আইনের স্বচ্ছতা আসলে এই খাতে ১০-১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটবে বলে মত দেয়া হয়।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজুল ইসলাম, ই-ক্যাব পরিচালক আশীষ চক্রবর্তী, বেসিস ভাইস প্রেসিডেন্ট শোয়েব এ মাসুদ, সিআইডি’র ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম বিভাগের এডিশনাল এসপি রায়হান উদ্দিন খান, বেসিস পরিচালক দিদারুল আলম সানি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।