আগামী ১৮ নভেম্বর শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড। বিশ্বসেরার সেই লড়াইয়ে লাল-সবুজের পতাকা ওড়াবে “টিম ফার্মার্স’’। কৃষি নির্ভর বাংলাদেশকে বুদ্ধিবৃত্তিক কাতারে দাঁড় করাতে যাচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি’র ব্লকচেইন চাষীরা। এর আগে আন্তর্জাতিক আসরে এই ইনস্টিটিউটেরই ‘ডিইউ নিমবাস’ জিতেছে টানা দুই-দুইবার বেস্ট প্রোটোটাইপ অ্যাওয়ার্ড। এই দলের দলনেতা ছিলেন তাহলিল। এরই মধ্যে তিনি ব্লকচেইন দুনিয়ায় বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়।
তারই অনুসারীরা চতুর্থ ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ ২০২৩-এ বাগিয়ে নিয়েছে দেশসেরার মুকুট। “প্রফেসর জামিলুর রেজা চৌধুরী” চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টিম ফার্মাস উদ্ভাবিত অ্যাপলিকেশন ‘ফার্মসিঙ্ক’। দেশের ঔষধ শিল্পের সাপ্লাই চেইনের সুরক্ষা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এতে ব্যবহৃত হয়েছে ডিসেন্ট্রালাইজড হাইব্রিড ব্লকচেইন।
টিম ফার্মার্স দলনেতা জিতেশ সুরেকা জানালেন, তাদের এই উদ্ভাবন সুরক্ষিত করবে জীবন রক্ষাকারী ঔষধ বিপনন কার্যক্রমকে। চিকিৎসার ব্যক্তিগত তথ্য থাকবে সুরক্ষিত। ভেজাল ঔষধের দৌরাত্ম্যকে রুখে দেবে। ফার্মেসি থেকে ঔষুধ কিনতে গিয়ে প্রতারিত হতে হবে না কাউকেই।
ব্লকচেইন প্রযুক্তির টেকসই ব্যবহারে এই উদ্ভাবনায় জিতেশের সঙ্গে আছেন আরো ৫ সহপাঠী। এরা হলেন- মুস্তাহিদ হাসান, আহমেদ আদনান, তাসমিয়া জেরিন, শফিক উস সালেহীন ও সমুদ্র গুপ্ত।
দেশজয়ের পর এবার বিশ্বজয়ের মিশনে তারা। নিজেদের উদ্ভাবনে যুক্ত করছেন আইওটি। নজর দিয়েছেন ঔষধের ক্রসবর্ডার বিপননের ব্লকচেইন সল্যুশনে।
ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ পর্বে জিতে নেয়া ২ লক্ষ্য টাকার পুরস্কার ব্যয় করছেন পরবর্তী গবেষণা ও উদ্ভাবনা কে টেকসই করতে। লক্ষ্য সল্যুশনটি প্রান্তিক মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া। এজন্য প্রয়োজন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা।
জিতেশ-দের বিশ্বজয়ের পাশাপাশি উদ্ভাবনটি এনএফটি টোকেন এর মাধ্যমেই হয়তো তথ্য ব্যবহার ও যাচাইয়ের পথ উন্মুক্ত হবে। এসডিজি ১৬ গোল ছুঁয়ে পিস, জাস্টিস এবং স্ট্রং ইনস্টিটিউশনের কাতারে পৌঁছবে বাংলাদেশ। ফার্মার্স দলের জন্য সবার মতো এমনটাই প্রত্যাশা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. বি এম মইনুল হোসেন।