বিশ্বজুড়ে ৪৮ কোটি ৭০ লাখ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর মুঠোফোন নম্বর চুরি করে একটি ‘পরিচিত’ হ্যাকার ফোরামের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। এসব নম্বরের মধ্যে বাংলাদেশের ৩৮ লাখ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর নম্বর রয়েছে। গবেষণাভিত্তিক অনলাইন প্রকাশনা সাইবার নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ডেটাবেসটিতে ৪৮৭ মিলিয়ন ফোন নম্বর ছিল।
ধারণা করা হচ্ছে, এসব তথ্য-উপাত্ত ২০২২ সালের। আর যে তথ্যভান্ডার (ডেটাবেজ) থেকে এগুলো চুরি হয়েছে, সেখানে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, ইতালি, মিসরসহ ৮৫টি দেশের হোয়াইটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের তথ্য-উপাত্ত রয়েছে। চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত হ্যাকার দলের ভাষ্য অনুযায়ী, এসব হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর ‘সক্রিয়’ ব্যবহারকারীদের।
দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন বলছে, ওই ডেটাবেস সারা বিশ্বের প্রায় এক চতুর্থাংশ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর তথ্য চুরি করেছে, যা হ্যাকার বিক্রির জন্য একটি পোস্টারও শেয়ার করেছেন। ভারতীয় গণমাধ্যম টিভি৯ বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ৫০ কোটি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর ফোন নম্বর সম্বলিত ডেটাবেস একটি হ্যাকিং সম্প্রদায়ের কাছে বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছে হ্যাকার।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, হোয়াটসঅ্যাপের যে ডেটাবেজের তথ্য-উপাত্ত চুরি হয়েছে, সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের ৩ কোটি ২০ লাখ এবং যুক্তরাজ্যের ১ কোটি ১৫ লাখ ব্যবহারকারীর নম্বর আছে। তবে তথ্য চুরির এ ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মিসরের ব্যবহারকারীরা। দেশটির ৪ কোটি ৫০ লাখ ব্যবহারকারী ঝুঁকিতে আছেন।
এ ছাড়া হ্যাকাররা দাবি করছেন, ইতালির ৩ কোটি ৫০ লাখ, রাশিয়ার ১ কোটি ও ভারতের ৬০ লাখ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর নম্বর চুরি করেছেন তারা।
এদিকে বিটডিফেন্ডার এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রায় ৮৫টি দেশের হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর তথ্য বিক্রির জন্য পোস্ট করা হয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ সহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (৩ কোটি ২০ লাখ ব্যবহারকারী), ব্রিটেন (১ কোটি ১০ ব্যবহারকারী), রাশিয়া (১ কোটি ব্যবহারকারী), ইতালি (৩ কোটি ৫০ লাখ ব্যবহারকারী), সৌদি আরব (২ কোটি ৯০ লাখ ব্যবহারকারী) এবং ভারত (৬০ লাখ ব্যবহারকারী) রয়েছে।