দেশে সম্প্রতি ডিস্ট্রিবিউটেড ডিনায়েল অব সার্ভিস (ডি ডস) সাইবার আক্রমণ দেখা গেছে জানিয়ে সরকারের কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোসহ সব গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করেছে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ সব সংস্থা যেন যথাযথ পদক্ষেপ নেয়— সে অনুরোধ জানানো হয়েছে। হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার স্থাপন বা হালনাগাদ করে সঠিক ‘অ্যান্টি–ডি ডস প্রটেকশন থ্রেশোল্ড’ লিমিট সেট করার জন্য সুপারিশ করেছে তারা। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, সামান্য একটু সচেতন হলেই অনেকাংশে হ্যাকিং বা সাইবার আক্রমন প্রতিরোধ করা সম্ভব। সাইবার হামলা থেকে বাঁচতে যা করতে পারেন-
# সবচেয়ে বেশি সাইবার হামলার শিকার হোন সামাজিক যোগাযোগ ব্যবহারকারীরা। এজন্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের এসব প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। অপরিচিত কাউকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করবেন না। যারা আইডিতে নিজের ছবি লুকিয়ে রাখেন তাদের বিষয়েও সতর্ক থাকুন।
# ফ্রিতে উইন্ডোজ ক্র্যাক ভার্সন ব্যবহারে বিরত থাকুন। পাশাপাশি আমাদের হার্ডওয়্যার সফটওয়্যার আপডেট রাখা জরুরি। ডেস্কটপ, কম্পিউটার নিয়মিত অ্যান্টি ভাইরাস দিয়ে রাখুন।
# অনলাইন কিংবা মেসেজে যে কেউ লিঙ্ক পাঠালেই সেটি ক্লিক করবেন না। এসব লিঙ্ক ক্লিক করার পর দেখা যায় ব্যবহারকারীর পাসওয়ার্ড চায়। এবার সেখানে পাসওয়ার্ড দেওয়া মানেই হ্যাকারের ফাঁদে পা দিয়ে দিলেন। এখন খুব সহজেই আপনার অ্যাকাউন্টের অ্যাক্সেস পেয়ে যাবে হ্যাক্রা।
# আবার অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন পণ্য বা পরিচিত সংস্থার সেলস অফারের নাম করে ভুয়া লিঙ্ক পাঠানো হয়। কিংবা প্রলোভনের মেসেজ দিয়ে বার্তা পাঠানো হয়। লিঙ্ক ডাউনলোড করলে দেখা যায় সেখানে ফোন নম্বর বা ই-মেইল চাওয়া হলো। দিয়ে দিলেই আপনার স্মার্টফোনের সকল তথ্য চলে যাবে তাদের হাতে। তাই যে কোনো লিঙ্কে ক্লিক করা বা ডাউনলোড করার আগে দ্বিতীয়বার ভেবে নিন।
# কোনো ই-মেইল আসলে আগে দেখে নিন প্রেরক পরিচিত কি না। আনট্রাস্ট কোনো কিছুতে ক্লিক দেওয়া যাবে না। এর মাধ্যমে নিজের সব তথ্য অন্যের কাছে চলে যাবে।
# কেউ কোনো তথ্য চাইলে আগে নিশ্চিত হোন কাকে দেবেন আর কাকে দেবেন না। নিজের ব্যক্তিগত তথ্য যে কাউকে শেয়ার করবেন না।
# সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার দেওয়া ব্যক্তিগত যত তথ্য সবকিছুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন আগে। পাবলিক না করে ফ্রেন্ড বা অনলি মি করে রাখুন। বিশেষ করে জন্মদিন ও পারিবারিক তথ্য পাবলিক করবেন না।
# মেইল ব্যবহারের ক্ষেত্রে টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন চালু করে রাখুন। সবসময় মোবাইল ফোনে লক স্কিন ব্যবহার করুন।
# ব্যক্তিগত ডিভাইস ছাড়া অন্যকোনো ডিভাইসে মেইল খুললে বা ফেসবুক ব্যবহার করলে অবশ্যই লগআউট করুন। একাধিক ডিভাইস ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনার মেইল বা সোশ্যাল মিডিয়া কোন কোন ডিভাইসে কোথায় ব্যবহৃত হচ্ছে তা নিয়মিত চেক করুন।
# পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহারে সাবধান হোন। বিশষ করে ফ্রি ওয়াইফাই সাইবার অপরাধীদের ফাঁদ হতে পারে।
# যে কারো চার্জার বা ইউএসবি ক্যাবল ব্যবহার করবেন না। যতটা সম্ভব নিজের ডিভাইসেও পাসওয়ার্ড সেভ সিস্টেম এড়িয়ে চলুন। যে কোনো অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করার আগে এর অথেন্টিকেশন যাচাই করে নিন।
# ব্যাংকিং অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে অ্যাপগুলো একটি আলাদা ফোল্ডারে রেখে সেটি পাসওয়ার্ড সুরক্ষিত রাখুন। পাসওয়ার্ডের জন্য বায়োমেট্রিক অথেন্টিকশন সুবিধা থাকলে সেটি ব্যবহার করুন।