চলতি মাসের শুরু থেকেই একের পর এক হ্যাকিংয়ের কবলে পড়ছে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার সাইবার নিরাপত্তাজনিত “একটি ঘটনা”র সম্মুখীন হয়ে কিছু গেম, সিস্টেম ও সেবা বিঘ্নিত হওয়ার কথা জানিয়েছিলো ফরাসী গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়া। এই গ্রাফিক চিপ নির্মাতা ছাড়াও হ্যাকিংয়ের কবলে পড়েছিল ইলেকট্রনিক জায়ান্ট স্যামসাং।
তবে এই হ্যাকিং কাণ্ডেন পেছনে কে বা কারা দায়ী সেটি এখনও প্রকাশ করেনি ইউবিসফট কিংবা স্যামসাং। তবে, এরই মধ্যে একদল হ্যাকার এ ঘটনার দায় স্বীকার করে নিয়েছে। এ দলটি এর আগে এনভিডিয়া হ্যাকিংয়ের জন্য দায়ী বলে প্রচার করেছিল।
অবশ্য “এ ঘটনার কারণে কোন খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত তথ্যে প্রবেশ বা উন্মুক্ত হওয়ার কোন প্রমাণ এখনো মেলেনি” বলে উল্লেখ করেছে ইউবিসফট। কেবল তা-ই নয়, তাদের গেম ও সেবাগুলো এখন ‘স্বাভাবিকভাবেই’ কাজ করছে বলে দাবি আক্রান্ত প্রতিষ্ঠানটির। যদিও সতর্কতার খাতিরে প্রতিষ্ঠানটি তাদের সব ‘পাসওয়ার্ড রিসেট’ করতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন ইউবিসফট মুখপাত্র জেসিকা রোচ।
এর আগে গত ১ মার্চ হ্যাকিংয়ের শিকার হওয়ার এবং প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব তথ্য এবং কর্মচারীদের পরিচয় শনাক্তকরণ ডেটা চুরির কথা নিশ্চিত করে এনভিডিয়া।
গ্যালাক্সি ডিভাইসের অভ্যন্তরীণ ডেটা ও সোর্স কোড খোয়া যাওয়ার খবর স্যামসাং নিশ্চিত করেছে ৭ মার্চ। উভয় ঘটনারই দায় স্বীকার করেছে হ্যাকিং গ্রুপ ল্যাপসাস।
ভার্জের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ল্যাপসাস গ্রুপের একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে শুক্রবার প্রতিবেদনের একটি লিংক তাচ্ছিল্যের সঙ্গে ঠোঁট বাকানো এক ইমোজি’সহ পোস্ট করেছে। সেখানে তারা ইউবিসফটের ঘটনার দায়ও স্বীকার করেছে। তবে চ্যানেলটির একজন ব্যবহারকারীর প্রশ্নের জবাবে গ্রুপটি ‘নিশ্চিত’ করেছে তারা ইউবিসফটের গ্রাহকদের কোনো তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেনি।