বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশেও এই স্মার্ট সিটির ধারণা বাস্তবায়নে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অগ্রজ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষাবিদেরা। তাদের মতে, স্মার্ট সিটি বাস্তবায়নে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং ইন্টারনেট অফ থিংস প্রযুক্তিসহ অন্যান্য ইনোভেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের আয়োজনে ‘স্মার্ট সিটি নিয়ে ভাবনা’ শীর্ষক ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে এমন অভিমত ব্যক্ত করেছেন তারা।
শুক্রবার (০২ অক্টোবর) বিকেলে অনুষ্ঠিত এই ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।
নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. রিয়াজ আক্তার মল্লিকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম।
ওয়েবিনারটি পরিচালনা করেন নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব এটিএম শাহজাহান। ওয়েবিনারে রিসোর্স পারসন হিসেবে স্মার্ট সিটি বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইউনিভার্সিটি অফ ইউটাহ এর এশিয়া ক্যাম্পাসের সহকারী অধ্যাপক ড. রিয়াজুল আহসান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, স্মার্ট সিটির ধারণা এখন উন্নত বিশ্বে বহুলভাবে আলোচিত হচ্ছে। এখন জরুরি হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরে সাড়ে ৭ কোটির জনসংখ্যা এখন প্রায় ১৮ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও সিলেটের মত বড় বড় শহরগুলোতে টেকসই উন্নয়ন এবং আধুনিক নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে স্মার্ট সিটির ধারণা নিয়ে ভাবতে হবে৷