কর্মস্থলে ‘মানসিক নির্যাতনের’ শিকার হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করা যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জ্যেষ্ঠ চালক মফিজুর রহমানের মরদেহ নিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী ও কর্মচারীরা। । এ সময় কর্মচারী সমিতির নেতৃবৃন্দ ও এলাকাবাসী মফিজুরের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত ও জড়িতদের শাস্তির দাবি করেন।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ার) রাতে তার মরদেহ এলাকায় পৌঁছালে যবিপ্রবি কর্মচারীরা ও এলাকাবাসী মরদেহ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেন। সেখানে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। ঘণ্টাব্যাপী অবরোধ কর্মসূচিতে যশোর-চৌগাছা সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সড়কের দুই ধারে যানজটের সৃষ্টি হয়।
অবরোধকালে মফিজুরের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত ও জড়িতদের শাস্তির দাবি করে বক্তব্য দেন, কর্মচারী সমিতির নেতা বদরুজ্জামান বাদল, মোহাম্মদ শাহিন, গোলাম রসুল, সাবেক ইউপি মেম্বার সবুর হোসেন প্রমুখ।
যবিপ্রবি সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পারিবারিক মামলার অভিযোগ তুলে যবিপ্রবির জ্যেষ্ঠ চালক মফিজুর রহমানকে প্রায় ছয় মাস বসিয়ে রাখা হয়। এসময় তাকে কোনো গাড়ি চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।
সম্প্রতি ‘জব অব নেচার’ পরিবর্তন করে তাকে অফিসের কাজে সংযুক্ত করতে চিঠি দেওয়া হয়। এছাড়াও তিনিসহ চালক ও হেলপারদের নানাভাবে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে পরিবহন প্রশাসক প্রফেসর ড. জাফিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ওই চিঠি পাওয়ার পর ‘পিয়নের কাজ করতে হবে’ এই মানসিক যন্ত্রণায় মফিজুর ২৯ ডিসেম্বর রাতে বাড়িতে নিজের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় পরিবারের সদস্যরা টের পেয়ে আগুন নিভিয়ে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসাপাতালে নিয়ে যান। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে দ্রুত তাকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাতে (১ জানুয়ারি) তিনি মৃত্যুবরণ করেন।