এক যুগ পর তৃতীয় বারের মতো বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) করেছে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি(বিসিএস)। এবারের সভায় সংঘবিধি হালনাগাদ করণের ক্ষেত্রে কোরাম সঙ্কট নিরসনে তিন চতুর্থাংশ বদলে দুই তৃতীয়াংশ উপস্থিতিকে সংবিধানের অন্তর্ভূক্ত করেছে বর্তমান কার্য নির্বাহী কমিটি।
বিসিএস ইনোভেশন সেন্টারে ২৯ অক্টোবর শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ এই সভা। বিসিএস সভাপতি ইঞ্জি. সুব্রত সরকারের সভাপতিত্বে সভায় সহ সভাপতি মো. রাশেদ আলী ভূইয়া, মহাসচিব কামরুজ্জামান ভূইয়া, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হেলালী, পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম এবং মোশারফ হোসেন সুমনসহ সংগঠনের সাধারণ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হেলালীর কোরআন তেলোয়াতে বিশেষ সাধারণ সভা শুরু হয়। বিসিএস মহাসচিব কামরুজ্জামান ভূইয়া সংঘবিধি সংশোধনের জন্য প্রস্তাব উত্থাপন করেন। বিসিএস সভাপতি ইঞ্জি সুব্রত সরকার আগতদের স্বাগত জানিয়ে সংগঠনের প্রয়োজনে সংঘবিধি সংশোধনের কারণ উল্লেখ করে বক্তব্য প্রদান করেন। বিসিএস এর সদস্যবৃন্দ এই সংশোধনের উপর ব্যক্তিগত মতামত প্রদান করেন।
সভায় উপস্থিত সদস্যদের প্রায় ৯৫ শতাংশ হাত তুলে কোরাম সঙ্কট নিরসনে নেয়া প্রস্তাবনার পক্ষে তাদের সমর্থন জানান। এ পর্যায়ে মহাসচিব কামরুজ্জামান ভূইয়া সংঘবিধি সংশোধনের প্রস্তাব পাশ হয়েছে বলে ঘোষণা দেন। আর এই ঘোষণার মাধ্যমে পরবর্তীতে কার্য নির্বাহী কমিটির ডিজিটাল উপস্থিতি, ইভিএম প্রক্রিয়ায় ভোট গ্রহণ এবং দেশজুড়ে একইসঙ্গে কেন্দ্র থেকে ভোট গ্রহণের ডিজিটাল প্রক্রিয়া সহ বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের পথ খুলে গেলো বলে মনে করছেন বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
নাম ও পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে ডিজিবাংলা’র এক প্রশ্নের জবাবে বিসিএস এর একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন ১৫ জনের সংগঠন থেকে বিসিএস যখন ২৭ হাজার সদস্যের সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে, তখন সংগঠনের সদস্যদেরও ব্যস্ততা বেড়েছে। তাই তারা প্রায়ই সভাগুলো সশরীরের উপস্থিত হতে পারেন না। ফলে কোরাম সংকটে অনেকগুলো মহতী উদ্যোগ বাস্তবায়ন বিলম্বিত হচ্ছে। যেহেতু ডিজিটাল উপস্থিতির বিষয়টি সংঘবিধিতে নেই। ফলে এহেন প্রেক্ষাপটে উপস্থিতি সংখ্যা তিন চতুর্থাংশ শেকে দুই তৃতীয়াংশ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রতিষ্ঠা পরবর্তী সময়ে আরো দুই বার বিশেষ সাধারণ সভা করেছে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি। প্রথম বিশেষ সাধারণ সভা হয়েছিলো ২০০৩ সালে সবুর খান সভাপতি থাকাকালীন সময়ে। ওই সভায় সংঘবিধি সংশোধন করা হয়েছিলো। আর দ্বিতীয় দফায় ২০১৩ সালে সদস্য চাঁদা বাড়ানো নিয়ে বিশেষ সাধারণ সভা করেছিলেন বর্তমান ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।