ডিজিটাল পদ্ধতিতে পোশাক শ্রমিকদের মজুরি প্রদান করতে জিটাল ওয়ালেট চালু করতে যাচ্ছে বিজিএমইএ। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ ভবনে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিভাগের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছে সংগঠনটি।
বিজিএমইএ-এর পক্ষে সচিব কমডোর (অবঃ) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক এবং আইসিটি বিভাগের পক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘এই সমঝোতা স্মারক সাক্ষরের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ের সাথে যুক্ত হলো একটি বড় উদ্যোগ, পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের জন্য ডিজিটাল ওয়ালেট। তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে তৈরি পোশাক শিল্প, যা বর্তমান সরকারের অন্যতম এজেন্ডা। তাই পোশাক শিল্পকে সকল ধরনের সহযোগিতা প্রদান করতে আমাদের মন্ত্রণালয় সদা প্রস্তুত রয়েছে। আগামি তিন মাসের মধ্যে স্বল্প পরিসরে পোশাক শিল্পে ই-ওয়ালেট চালুর বিষয়ে একটি পাইলট প্রকল্প নেওয়া হবে।’
পলক আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাতে ৪৪ লাখ শ্রমিক কাজ করে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ নারী শ্রমিক। এই খাতটি তাই একদিকে যেমন কর্মস্থান বাড়িয়েছে তেমনি বাড়িয়েছে নারীর ক্ষমতায়ন। তাদের ডিজিটাল ওয়ালেট ব্যবহারের ফলে মধ্যসত্ত্বভোগীদের বিড়ম্বনা কমবে এবং সঞ্চয় বাড়বে।’
সভাপতির বক্তব্যে বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, ‘এই ডিজিটাল ওয়ালেট-এর ফলে পোশাক শিল্পের শ্রমিক ভাইবোনেরা অর্থ নিরাপত্তা পাবেন, তাদের অর্থ সাশ্রয় হবে, তারা অনলাইনে কেনাকাটা করতে পারবেন, বিদ্যুৎ বিলসহ সকল সেবার বিল সহজেই পরিশোধ করতে পারবেন। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, শ্রমিকদের ক্রেডিট প্রোফাইল তৈরি হবে, ফলে তারা যে কোন সমস্যায় ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা চাই আগামী ঈদুল আযহার আগেই অন্তত একটি গার্মেন্টসে এই মোবাইল ওয়ালেট চালু করে এর মাধ্যমে ঈদ বোনাসটা দিতে।’
অনুষ্ঠানে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বেতন গ্রহণ করছেন- এমন পাঁচটি কারখানার শ্রমিক প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।