শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপুমনি বলেছেন, তথ্য-প্রযুক্তির বিপ্লবের এসময়ে শিক্ষার প্রসার ও মান উন্নয়নে প্রযুক্তিকে হাতিয়ারে পরিণত করতে হবে, এর ফলে একদিকে একদিকে ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষার বিশাল ভূবনে প্রবেশ করবে, তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারে অভ্যস্ত হবে, একটি বিষয়ে নানান ধরণের রেফারেন্স ব্যবহার করতে পারবে, সহজে স্বাচ্ছন্দে শিখতে সক্ষম হবে শিক্ষার্থীরা। এ জন্য সরকার শিক্ষায় ই-লার্নিং পদ্ধতি ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি আজ (১৩জুন) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে মাউশি’র (মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর) সেসিপ প্রকল্পের আওতায় ‘মাধ্যমিক পর্যায়ে শিখন-শেখানো কার্যক্রমে ই-লার্নিং এর ব্যবহার’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটকে কাজে লাগিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে টেলিভিশনের মাধ্যমে ই-লার্নিং কনটেন্ট সম্প্রচার করা হবে। শিক্ষায় শহর ও গ্রামের বৈষম্য দূর করতে হাই-স্পীড ইন্টারনেট কানেকটিভিটি নিশ্চিত করা হবে যাতে তৃণমূল পর্যায়ে শিক্ষার্থরাও শহরের শিক্ষার্থীর সম সুযোগ পায়।
গোল টেবিল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির ভিসি মুনারজ আহমেদ নূর, বুয়েটের অধ্যাপক মো. কায়কোবাদ, প্রকল্পের কনটেন্ট ডেভলপমেন্ট পার্টনার ইএটিএল (এথিক্স এডভান্সড টেকনোলজি লি.) এর এমডি মুবিন খান, বৈঠক সঞ্চালনা করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব ড. মাহমুদ-উল-হক।
বৈঠকে জানানো হয়, প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে দেশব্যাপি ৭১০টি ই-লার্নিং সেন্টার স্থাপন ও ই-লার্নিং এ জনসচেতনতা সৃষ্টিতে ৯টি বিভাগীয় শহরে ই-লার্নিং মেলার আয়োজন করা হয়েছে।