প্রস্তাবিত বাজেটে ‘জাতীয় সঞ্চয়স্কীম অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ চালুর প্রস্তাব করা হয়েছে। সঞ্চয়পত্র ক্রয়-বিক্রয় ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নের উদ্দেশ্য অর্থবিভাগের মাধ্যমে এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এ প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বিকেল ৩টায় একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশন শুরুর পর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর অনুমোদনক্রমে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, সঞ্চয়পত্র ব্যবস্থাপনা ডিজিটালাইজেশন করার মাধ্যমে জাতীয় সঞ্চয় স্কিমসমূহের বিক্রয়, মুনাফা, নগদায়ন ইত্যাদি বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য পাওয়া সম্ভব হবে। এ পদ্ধতিতে জাতীয় পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে সঞ্চয়পত্র ক্রয়ের উর্ধ্বসীমা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।সেই সঙ্গে গ্রাহকের মুনাফা ও আসল ইএফটির মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিশোধ করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংকগুলোকে আগামী ১ জুলাই থেকে অনলাইন সিস্টেমে জাতীয় সঞ্চয়পত্র বিক্রি করতে হবে। এর আগে এক প্রজ্ঞাপনে এই বাণিজ্যিক ব্যংকগুলোকে এ বিষয়ক নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। সেখানে বলা হয়, সিস্টেমটি মার্চ মাস থেকে ঢাকা মহানগরীতে চালু হয়েছে। এপ্রিল মাসের মধ্যে সব বিভাগীয় শহরে এটি চালু করতে হবে। এছাড়া জুনের মধ্যে দেশের অন্যান্য স্থানে অবস্থিত সব দফতরে চালু করতে হবে।