ই-কমার্স প্রতারণায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসের পাশাপাশি ভোক্তাদেরও সতর্ক হয়ে বিনিয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। অরপদিকে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যবসার নামে গ্রাহকরা যেভাবে প্রতারিত হচ্ছেন, সে জন্য গ্রাহকদের লোভ কমাতে জনস্বার্থে প্রচারণা চালানোর পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ফোনালাপে আড়িপাতা নিয়ে রিট শুনানির সময় রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মুস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ পরামর্শ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
এদিকে এদিন সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ই-কমার্সের মাধ্যমে প্রতারণার বিষয়ে তদন্ত চলছে। এতে কারও কোনও অপরাধ প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে সাধারণ ভোক্তাদেরও ‘দেখে-শুনে’ বিনিয়োগ করতে হবে।
এছাড়াও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের কথিত পৃষ্ঠপোষক, ভারতে আটক বনানী থানার বরখাস্ত হওয়া পরিদর্শক সোহেল রানাকে খুব শিগগিরই দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
অপরদিকে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে গ্রাহকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় আরও একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে ধানমন্ডি থানার পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।